ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি ডেঙ্গু রোগী সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় : তাজুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এ বছর আবহাওয়ার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য বছরে এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ এতো বেশি থাকে না।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ও সিটি করপোরেশনগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এসি, ছাদ বাগান, নতুন স্থাপনা বা কোথাও যেন পানি না জমে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল এখন ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য তৈরি রয়েছে। ১০০০ শয্যার মধ্যে ছয়জন কোডিভ রোগী আলাদাভাবে সেবা নিচ্ছে। এ হাসপাতালে ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে এবং আরও প্রায় ৪০০ শয্যা ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সবাই মিলে এক সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়ররা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ-বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ যখন যা চেয়েছেন তাই সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে। টিভিসি তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জোবায়দুর রহমান, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম শফিকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি ডেঙ্গু রোগী সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় : তাজুল

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এ বছর আবহাওয়ার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য বছরে এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ এতো বেশি থাকে না।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ও সিটি করপোরেশনগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এসি, ছাদ বাগান, নতুন স্থাপনা বা কোথাও যেন পানি না জমে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল এখন ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য তৈরি রয়েছে। ১০০০ শয্যার মধ্যে ছয়জন কোডিভ রোগী আলাদাভাবে সেবা নিচ্ছে। এ হাসপাতালে ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে এবং আরও প্রায় ৪০০ শয্যা ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সবাই মিলে এক সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়ররা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ-বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ যখন যা চেয়েছেন তাই সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে। টিভিসি তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জোবায়দুর রহমান, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম শফিকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।