স্পোর্টস ডেস্ক :
হারতে হারতে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া খুলনা টাইগার্স সবার আগে বিপিএলের প্লে অফ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। আদতে এ ম্যাচ ছিল গুরুত্বহীন। কেননা ফরচুন বরিশাল প্লে-অফে সেরা দুইয়ের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু গ্রুপপর্বের গুরুত্বহীন এই ম্যাচটিই রীতিমত জমিয়ে দিলো মিরপুর শেরে বাংলা।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই হলো। যে লড়াইটি শেষ ওভারে ৬ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে জিতলো খুলনা টাইগার্স। এতে ১২ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে শেষ করলো ইয়াসির আলি রাব্বির দল।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে জয়ের আভাস পেলেও পরক্ষনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সাকিব আল হাসানের দল। তবে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ছয় উইকেটের জয় তুলে নিয়ে বিপিএলের নবম আসরে গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ করে খুলনা টাইগার্স।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট হারায় বরিশাল। দলীয় ১৪ রানে আউট হন রিয়াদ। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন লঙ্কান ব্যাটার চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা গড়েন সাকিব ও বিজয়। তবে ১৪ বলে ২২ রানের ঝটিকা ইনিংস খেলে হাসান মুরাদের বলে নাসুমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।
সাকিব ফেরার ওভারেই আউট হন বিজয়। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। দুইজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের কার্যকরী পার্টনারশিপ। এরপর ১৫ বলে ২১ রান করে ইব্রাহিম জাদরান আউট হলেও উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন প্রিটোরিয়াস।
তবে ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। সবশেষ নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় ফরচুন বরিশাল। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও হাসান মুরাদ।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় খুলনা। এরপর আন্ড্রু বালবির্নি ও শেই হোপ মিলে গড়েন ৩৫ রানের ইনিংস। ১৩ বলে ১৫ রান করে হোপ সাজঘরে ফিরলেও উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন বালবির্নি। তবে দলীয় ৭৬ রানে ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে খালেদ আহমেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই আইরিশ ব্যাটার।
এরপর খুলনাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির রাব্বি। দুইজনে মিলে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। ১৩ বলে ১৩ রান করে রাব্বি আউট হলে আবারও হারের শঙ্কায় পড়ে খুলনা। তবে শেষ পর্যন্ত হাবিবুর রহমানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা। ৯ বলে ৩০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর তিন বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন জয়। অন্যদিকে বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।