মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমতলীর দলিলের বালাম ১৯০১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজো বরগুনা জেলায় পৌঁছেনি মীরসরাইয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার তাড়াশে আড়াই কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক বানারীপাড়ায় চক্ষু বিষয়ক সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক শ্রীপুরে হত্যা মামলার দুই আসামী আটক ভারতজুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ‘আ.লীগের সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে’ ফরিদপুরে ফসলসহ মাটি কেটে নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান শুরু কাল : সনাতনীদের ঢল মঠবাড়িয়ায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস চালকের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানববন্ধন পদ দিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগ : অডিও ভাইরাল র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: যা বললো র‍্যাব ভারতের সবচেয়ে দামি গাড়ি কিনলেন শাহরুখ, কত দাম? বেলকুচির এমপিএ ডাঃ আবু হেনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন উচ্চ রক্তচাপে জেসমিনের মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশজুড়ে ৪৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত

গেলো ফেব্রুয়ারি মাসে দেশজুড়ে ৪৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত হয়েছেন। যার ৫৭.৭১ শতাংশই ছিল পথচারী। অপরদিকে সড়কে ৪৪৭টি দুর্ঘটনার মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলেই ঘটেছে ১৫৪টি দুর্ঘটনায়, এতে প্রাণ গেছে ১৫৯ জনের।

এছাড়া রেলপথে ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন, নৌ-পথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলিয়ে মোট ৫০৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে প্রাণ গেছে ৫২২ জনের। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭৯৫ জন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে ১৭২ জন চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৩৪ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬২ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯৪ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, ১ জন সাংবাদিক, ১ জন আইনজীবী, ১ জন প্রকৌশলী এবং ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর ছিরেন। যার মধ্যে নিহত হয়েছে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ২ সেনাবাহিনীর সদস্য, ১৩৩ জন চালক, ৮৬ জন পথচারী, ৫২ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ৫০ জন শিক্ষার্থী, ২৪ জন পরিবহন শ্রমিক, ১১ জন শিক্ষক, ১ জন প্রকৌশলী, ১ জন আইনজীবী ও ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৫৯৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৩.৭১ শতাংশ বাস, ২৭.০৯ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৭.১৯ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৬.৩৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৫.৫৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২.০৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৮.০২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৭১ শতাংশই ছিল পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা। ১৯.০১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩.৮৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৮.০৫ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২২ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ০.৮৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১.৯৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১.৭০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৮.৯২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.২৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ০.৮৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, এই দিনে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি, এই দিনে ৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার চিত্র ও ধরণ পর্যবেক্ষণ করে এসব ঘটনার জন্য বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি। কারণগুলো হলো: গাড়ির বেপরোয়া গতি, বিপদজনক অভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা, দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *