ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-৩ দুই দলেরই পুন:উদ্ধারের চেষ্টা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৫০৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর :
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ (ফরিদপুর সদর) আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে পট পরিবর্তন হয়ে আওয়ামীলীগের দখলে চয়ে যায়। যার কারন হচ্ছে এই আসন থেকে পরপর পাঁচ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির পক্ষ থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। বিএনপি জোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোঃ মুজাহিদকে জোট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নিকট বিএনপির জোট প্রার্থী জামায়েত নেতা আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ পরাজিত হয়। তারপর থেকে এই আসনটি বিএনপি’র হাত ছাড়া হয়ে যায়।
ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ এই আসনটি পুন:উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। তবে কতটুকু কাজ হবে বলা যাচ্ছে না। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ প্রায় ২ বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জায়গায় তার মেয়ে চৌধুরী  নায়াব ইউসুফ  কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ফরিদপুরে পিতার আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান বিএনপির একটি গ্রুপ । এছাড়াও আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছে বিএনপির। তাদের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহাবুবুল হাসান পিংকু, ফরিদপুরের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে থাকা এবং বর্তমান ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া।
ফরিদপুর সংসদীয়-৩ এ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রায় ২ বছর ধরে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন এবং শোনা যাচ্ছে তাকে মনোনয়ন নাও দিতে পারে। কিন্তু এ আসনে তাকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিবে তা কেউ বলতে পারছে না।
 ফরিদপুর একাধিক শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, এ আসনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কাকে দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন দিবে তা একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জানেন, আমাদের বলার ক্ষমতা নেই এবং জানাও নেই। তবে একাধিক প্রার্থীর সমর্থকরা জানান, এ আসনে নির্বাচনের প্রত্যাশায় রয়েছেন, বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও  এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি  মীর নাসির হোসেন, অপর শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী এ.কে আজাদ, সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাবেক এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল হাসান। শহীদুল হাসানের ফরিদপুরে বেসরকারী অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার অবদান রয়েছে যা ফরিদপুরে দৃশ্যমান।
সার্বিকভাবে ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন বহন করে এবং খুবই কঠিন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জন্য। ফরিদপুর সংসদীয় আসনটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত। দুই দলেরই  প্রেস্টিজ ইস্যু জয়- পরাজয়ে নিয়ে ।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-৩ দুই দলেরই পুন:উদ্ধারের চেষ্টা 

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর :
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ (ফরিদপুর সদর) আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে পট পরিবর্তন হয়ে আওয়ামীলীগের দখলে চয়ে যায়। যার কারন হচ্ছে এই আসন থেকে পরপর পাঁচ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির পক্ষ থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। বিএনপি জোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোঃ মুজাহিদকে জোট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নিকট বিএনপির জোট প্রার্থী জামায়েত নেতা আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ পরাজিত হয়। তারপর থেকে এই আসনটি বিএনপি’র হাত ছাড়া হয়ে যায়।
ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ এই আসনটি পুন:উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। তবে কতটুকু কাজ হবে বলা যাচ্ছে না। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ প্রায় ২ বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জায়গায় তার মেয়ে চৌধুরী  নায়াব ইউসুফ  কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ফরিদপুরে পিতার আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান বিএনপির একটি গ্রুপ । এছাড়াও আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছে বিএনপির। তাদের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহাবুবুল হাসান পিংকু, ফরিদপুরের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে থাকা এবং বর্তমান ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া।
ফরিদপুর সংসদীয়-৩ এ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রায় ২ বছর ধরে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন এবং শোনা যাচ্ছে তাকে মনোনয়ন নাও দিতে পারে। কিন্তু এ আসনে তাকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিবে তা কেউ বলতে পারছে না।
 ফরিদপুর একাধিক শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, এ আসনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কাকে দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন দিবে তা একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জানেন, আমাদের বলার ক্ষমতা নেই এবং জানাও নেই। তবে একাধিক প্রার্থীর সমর্থকরা জানান, এ আসনে নির্বাচনের প্রত্যাশায় রয়েছেন, বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও  এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি  মীর নাসির হোসেন, অপর শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী এ.কে আজাদ, সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাবেক এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল হাসান। শহীদুল হাসানের ফরিদপুরে বেসরকারী অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার অবদান রয়েছে যা ফরিদপুরে দৃশ্যমান।
সার্বিকভাবে ফরিদপুর সংসদীয় আসন-৩ দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন বহন করে এবং খুবই কঠিন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জন্য। ফরিদপুর সংসদীয় আসনটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত। দুই দলেরই  প্রেস্টিজ ইস্যু জয়- পরাজয়ে নিয়ে ।
বা/খ: জই