প্লাস্টিক, বর্জ্য ও পরিত্যক্ত জাল সংরক্ষণে কুয়াকাটা সৈকতে নান্দনিক ডাস্টবিন
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বর্জ্য, প্লাস্টিক সংরক্ষণ আর জেলেদের ছেঁড়া ফাটা জাল সংরক্ষণে অস্থায়ী নান্দনিক ডাষ্টবিন স্থাপন করেছে গ্লোবাল ঘোস্ট গিয়ার ইনিশিয়েটিভ এবং ওশান কনজারভ্যান্সি, যুক্তরাষ্ট্র নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার সকালে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ও এর আশেপাশে মাছ ধরার ট্রলার, মাছ ও প্লাস্টিকের বোতল আকৃতির ৪টি ডাষ্টবিন স্থাপন করা হয় কুয়াকাটায়। এর বাস্তবায়ন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ। পবিপ্রবি’র এর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্থানীয় জেলে ও পর্যটকদের সম্মিলিত কুয়াকাটা সৈকত পরিস্কার করে সচেতনতা প্রচার করে তাঁরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আলীপুর-মহিপুরের ৩০ জন জেল-মাঝিদের নিয়ে সমুদ্রের ছেঁড়া ফাটা জাল সমুদ্রে না ফেলে সংরক্ষণ করা এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল হক, রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মো. মামুন-উর-রশিদ, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো.মোয়াজ্জেম হোসেন, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মিজানুর রহমান। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ মো. হাবিব, কলাপাড়া উপজেলা মাঝি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরু মাঝি,মন্নাফ মাঝি প্রমুখ।
পরিবেশ কর্মী কে এম বাচ্চু বলেন কুয়াকাটার চর বিজয় সহ উপকূল জুড়ে যে সমস্ত চর রয়েছে সরজমিনে গুলোতে পরিদর্শন করে দেখা গেছে ছেড়া ফাটা জালের কারনে অতিথি পাখি, ডলফিন,হাঙ্গর,কাকরা,তিমি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড়ো মাছ মারা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন কুয়াকাটার পরিত্যক্ত ঘাটলা খাল পূনরায় ক্ষনন এবং প্লাস্টিকের পণ্য না ফেলে এটিকে পর্যটন বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার আহবান করেন। খালে পড়ে থাকা প্লাস্টিক পণ্য এখান থেকে পানিতে ভেসে কোন ভাবে সমুদ্র গিয়ে না পরে সেদিন লক্ষ রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, প্রফেসর ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন,ডিন,মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ,পবিপ্রবি তিনি বলেন, সমুদ্রে ছেড়া ফাটা টুকরা জাল সমুদ্রে ফেলার কারনে সমুদ্রে মাছের পাশাপাশি ডলফিন,কচ্ছপ,হাঙ্গর,তিমি,পাখি, কাকড়া, সহ অন্য প্রাণী আটকে মারা যাচ্ছে। আপনারা ছেড়া ফাটা টুকরা জাল সমুদ্রে না ফেলে এগুলো নিয়ে এসে আপনার উপকারি কাজে ব্যবহার করেতে পারেন কৃষি উপকরন,রশি,বেরা,মাচা তৈরীতে এই জালগুলো ব্যাবহার করে পারেন এতে একদিকে যেমন আপনি লাভবান হবেন তেমনি সমুদ্রও নিরাপদ থাকবে।
অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল হক জানান, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে আমরা পরিবেশ রক্ষায় এই নান্দনিক ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা করেছি যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসে। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র পাশাপাশি এই সমুদ্র আমাদের সম্পদ। সেই সম্পাদ রক্ষায় আমাদের সকলের কাজ করতে হবে। আমাদের এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
বাখ//আর