ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রোটিয়াদের হারিয়ে সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে বৃষ্টি কখনও আশীর্বাদ বয়ে আনেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। তার প্রমাণ এবারও মিললো। বৃষ্টি নামার আগে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৮৬। বৃষ্টি অনেকটা সময় কেড়ে নিলে পরে ১৪ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের কাছে ৩৩ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশাটুকু বেঁচে রইলো।

সুপার টুয়েলভে গ্রুপ দুইয়ে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ভারত ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।

প্রোটিয়ারা বৃষ্টির আগেই বিপদে ছিল। তার চেয়েও বড় দুঃসংবাদ ছিল ডেভিড মিলার এই ম্যাচে নেই! তার অনুপস্থিতি কেমন প্রভাব ফেলে তার ফলটা তো হাতেনাতেই মিলেছে।

৯ ওভারে ৬৯ রানে পড়েছে ৪ উইকেট। অষ্টম ওভারে শাদাব খানই সর্বনাশ করেছেন তাদের। জোড়া আঘাতে ফিরিয়েছেন দুই সেট ব্যাটার তেম্বা বাভুমা (৩৬) ও এইডেন মারক্রামকে (২০)। বৃষ্টির পর ওভার কমে গেলে তখন চাপটাও বাড়ে আরও। সেই চাপে পিষ্ট হয়ে তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হাইনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিস্টান স্টাবসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ক্লাসেন ১৫ রানে ফিরেছেন। তার পর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়েইন পারনেল (৩), ত্রিস্টান স্টাবস (১৮)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১০৮।

শাহীন আফ্রিদি ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে দুটি উইকেট নেন শাদাব খান। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে অবদান রাখায় ম্যাচসেরাও তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম, হারিস, ওয়াসিম।

শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামলেও স্বীকৃত টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল এদিন। ৪৩ রানে বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪), মোহাম্মদ হারিস (২৮), বাবর আজম (৬) ও শান মাসুদ (২)। ৯৫ রানে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরলে তখনও বোঝা যায়নি শেষটায় পাকিস্তান কী বারুদ জমিয়ে রেখেছে। তার পর মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রানের বারুদ ঠাসা জুটি উপহার দিয়ে স্কোরবোর্ডের চেহারাই পাল্টে দেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনেই বিস্ফোরক ফিফটি পেয়েছেন।

তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮.৫ ওভারে জমা হয়েছে ১৭৭! শাদাব খান ২২ বলে ৫২ রানে ফিরলে জুটি ভাঙে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছয়। পরের বলে বিদায় নেন নতুন নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম। পরবর্তী ওভারের শুরুতে ইফতিখার আহমেদের দুর্দান্ত ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫১ রান। টানা তিন বলে উইকেট পড়ায় শেষটা হয়ে পড়ে ধীরগতির। তার পরেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বড় স্কোর পেয়েছে পাকিস্তান।
প্রোটিয়াদের হয়ে ৪১ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট আইনরিখ নর্কিয়ার। একটি করে নিয়েছেন ওয়েইন পারনেল, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি ও তাবরেইজ শামসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রোটিয়াদের হারিয়ে সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে বৃষ্টি কখনও আশীর্বাদ বয়ে আনেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। তার প্রমাণ এবারও মিললো। বৃষ্টি নামার আগে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৮৬। বৃষ্টি অনেকটা সময় কেড়ে নিলে পরে ১৪ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের কাছে ৩৩ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশাটুকু বেঁচে রইলো।

সুপার টুয়েলভে গ্রুপ দুইয়ে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ভারত ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।

প্রোটিয়ারা বৃষ্টির আগেই বিপদে ছিল। তার চেয়েও বড় দুঃসংবাদ ছিল ডেভিড মিলার এই ম্যাচে নেই! তার অনুপস্থিতি কেমন প্রভাব ফেলে তার ফলটা তো হাতেনাতেই মিলেছে।

৯ ওভারে ৬৯ রানে পড়েছে ৪ উইকেট। অষ্টম ওভারে শাদাব খানই সর্বনাশ করেছেন তাদের। জোড়া আঘাতে ফিরিয়েছেন দুই সেট ব্যাটার তেম্বা বাভুমা (৩৬) ও এইডেন মারক্রামকে (২০)। বৃষ্টির পর ওভার কমে গেলে তখন চাপটাও বাড়ে আরও। সেই চাপে পিষ্ট হয়ে তারা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হাইনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিস্টান স্টাবসের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ক্লাসেন ১৫ রানে ফিরেছেন। তার পর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়েইন পারনেল (৩), ত্রিস্টান স্টাবস (১৮)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১০৮।

শাহীন আফ্রিদি ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে দুটি উইকেট নেন শাদাব খান। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে অবদান রাখায় ম্যাচসেরাও তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম, হারিস, ওয়াসিম।

শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামলেও স্বীকৃত টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল এদিন। ৪৩ রানে বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪), মোহাম্মদ হারিস (২৮), বাবর আজম (৬) ও শান মাসুদ (২)। ৯৫ রানে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরলে তখনও বোঝা যায়নি শেষটায় পাকিস্তান কী বারুদ জমিয়ে রেখেছে। তার পর মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রানের বারুদ ঠাসা জুটি উপহার দিয়ে স্কোরবোর্ডের চেহারাই পাল্টে দেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনেই বিস্ফোরক ফিফটি পেয়েছেন।

তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮.৫ ওভারে জমা হয়েছে ১৭৭! শাদাব খান ২২ বলে ৫২ রানে ফিরলে জুটি ভাঙে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছয়। পরের বলে বিদায় নেন নতুন নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম। পরবর্তী ওভারের শুরুতে ইফতিখার আহমেদের দুর্দান্ত ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫১ রান। টানা তিন বলে উইকেট পড়ায় শেষটা হয়ে পড়ে ধীরগতির। তার পরেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বড় স্কোর পেয়েছে পাকিস্তান।
প্রোটিয়াদের হয়ে ৪১ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট আইনরিখ নর্কিয়ার। একটি করে নিয়েছেন ওয়েইন পারনেল, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি ও তাবরেইজ শামসি।