ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পোল্যান্ডের দেওয়া প্রথম যুদ্ধ বিমান পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটোভুক্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে প্রথম যুদ্ধ বিমান মিগ-২৯ এস দিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড। আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিমানগুলো ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানী ওয়ারশতে এক সংবাদ সম্মেলনে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনকে চারটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময় দেশটিকে আরও যুদ্ধবিমান দেবে পোল্যান্ড। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

দুদা আরও জানান, ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান দেওয়া হতে পারে। এর আগে গত মঙ্গলবার পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউসজ মোরাভিয়েৎস্কি ইঙ্গিত দেন, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানগুলো দেওয়া হতে পারে।

প্রথম ধাপে কিয়েভকে চারটি মিগ-২৯ এস দেয়া হবে বলে জানায় পোলিশ ব্যুরো অব ন্যাশনাল সিকিউরিটির এক কর্মকর্তা। পোল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপীয় বেশ কয়েকটি দেশের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা সোভিয়েত আমলে নির্মিত মিগ-২৯ এস যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে একমত হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেন। যুদ্ধবিমানগুলো পাবার পর ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে মনে করছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ না করতে সতর্ক করে আসছে রাশিয়া।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে কিয়েভের পাশে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড। লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে দেশটি। এর আগে, রুশবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে ১৪টি জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক দিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড।

এদিকে, ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ হিসেবে পোল্যান্ডের এমন পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। পোল্যান্ডের পাশাপাশি ইউরোপের আরেক দেশ স্লোভাকিয়াও ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পোল্যান্ডের দেওয়া প্রথম যুদ্ধ বিমান পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন

আপডেট সময় : ১২:৩৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাটোভুক্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে প্রথম যুদ্ধ বিমান মিগ-২৯ এস দিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড। আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিমানগুলো ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানী ওয়ারশতে এক সংবাদ সম্মেলনে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনকে চারটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময় দেশটিকে আরও যুদ্ধবিমান দেবে পোল্যান্ড। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

দুদা আরও জানান, ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান দেওয়া হতে পারে। এর আগে গত মঙ্গলবার পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউসজ মোরাভিয়েৎস্কি ইঙ্গিত দেন, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানগুলো দেওয়া হতে পারে।

প্রথম ধাপে কিয়েভকে চারটি মিগ-২৯ এস দেয়া হবে বলে জানায় পোলিশ ব্যুরো অব ন্যাশনাল সিকিউরিটির এক কর্মকর্তা। পোল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপীয় বেশ কয়েকটি দেশের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা সোভিয়েত আমলে নির্মিত মিগ-২৯ এস যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে একমত হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেন। যুদ্ধবিমানগুলো পাবার পর ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে মনে করছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ না করতে সতর্ক করে আসছে রাশিয়া।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে কিয়েভের পাশে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড। লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে দেশটি। এর আগে, রুশবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে ১৪টি জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক দিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড।

এদিকে, ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ হিসেবে পোল্যান্ডের এমন পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। পোল্যান্ডের পাশাপাশি ইউরোপের আরেক দেশ স্লোভাকিয়াও ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশটি।