ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পেছনের দরজা দিয়ে পালালেন পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
একদিকে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ টুয়েন্টি সেভেন। অন্যদিকে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে একটি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষ না করেই পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেছেন পর্তুগালের অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী। পরে পুলিশি বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বিক্ষোভকারীরাও।

পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা সিলভার একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন একদল পরিবেশকর্মী। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে বৈঠক শেষ না করে গণমাধ্যম এড়িয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন মন্ত্রী।

পর্তুগিজ সম্প্রচার মাধ্যম আরটিপি জানিয়েছে, এ সময় অর্থমন্ত্রী পেছনের দরজা দিয়ে ভবন থেকে পালিয়ে যান। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অর্থমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা সিলভা।

এ সময় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধায় সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বিক্ষোভকারীরাও।

মিশরে চলমান জলবায়ু সম্মলনকে নিস্ফল আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি কোম্পানির লবিস্টদের সঙ্গে নয়, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানান।

একজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা মিশরে গিয়ে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারছি না বলেই এখানে জড়ো হয়েছি। চলমান সম্মেলনে কোনো সমাধান নেই। কারণ সেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। আছে শুধু জীবাশ্ম জ্বালানি সংক্রান্ত বিভিন্ন কোম্পানির লবিস্টরা। এদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনোভাবেই সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে আমরা পর্তুগালের বর্তমান অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্যে আছি। এটি সত্যি অনেক জরুরি একটা বিষয়। এখন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভুগতে হবে।

চলমান জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পর্তুগিজ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব কম দেয়ার অভিযোগ তাদের।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পেছনের দরজা দিয়ে পালালেন পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
একদিকে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ টুয়েন্টি সেভেন। অন্যদিকে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে একটি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষ না করেই পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেছেন পর্তুগালের অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী। পরে পুলিশি বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বিক্ষোভকারীরাও।

পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা সিলভার একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন একদল পরিবেশকর্মী। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে বৈঠক শেষ না করে গণমাধ্যম এড়িয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন মন্ত্রী।

পর্তুগিজ সম্প্রচার মাধ্যম আরটিপি জানিয়েছে, এ সময় অর্থমন্ত্রী পেছনের দরজা দিয়ে ভবন থেকে পালিয়ে যান। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অর্থমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা সিলভা।

এ সময় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধায় সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বিক্ষোভকারীরাও।

মিশরে চলমান জলবায়ু সম্মলনকে নিস্ফল আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি কোম্পানির লবিস্টদের সঙ্গে নয়, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানান।

একজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা মিশরে গিয়ে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারছি না বলেই এখানে জড়ো হয়েছি। চলমান সম্মেলনে কোনো সমাধান নেই। কারণ সেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। আছে শুধু জীবাশ্ম জ্বালানি সংক্রান্ত বিভিন্ন কোম্পানির লবিস্টরা। এদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনোভাবেই সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে আমরা পর্তুগালের বর্তমান অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্যে আছি। এটি সত্যি অনেক জরুরি একটা বিষয়। এখন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভুগতে হবে।

চলমান জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পর্তুগিজ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব কম দেয়ার অভিযোগ তাদের।