ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পেঁয়াজ রপ্তানিতে মূল্যসীমা প্রত্যাহার ভারতের, দেশে কমছে দাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পেঁয়াজ রপ্তানিতে বেঁধে দেয়া নূন্যতম মূল্য ভারত প্রত্যাহার করে নেয়ার পরপরই দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা। দু’তিন দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমে আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। তবে এরইমাঝে যারা পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন এ খবরে তারা লোকসানে পড়বেন বলে শঙ্কা করছেন।

দীর্ঘ সময় ধরেই দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। ফলে বিকল্প হিসেবে অনেকেই পাকিস্তান, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। ভারতীয় পেঁয়াজের সাথে সেগুলোর পার্থক্য ছিল বিশ টাকার উপরে। তাই চাহিদাও তৈরি হয়। এমন অবস্থায় দেশে আমদানি হয় পাকিস্তান ও চীনের পেঁয়াজ।

তবে চারমাস পর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্যসীমা তুলে নেয়ার পর থেকেই দেশের বাজারে নিম্নমুখী নিত্যপণ্যটির দাম। বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১০৩ টাকায়। একদিনেই দাম নেমে এসেছে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায়।

এদিকে, আড়ত ভর্তি দেশী এবং ভারতীয় পেঁয়াজ। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই। একে তো বৈরী আবহাওয়া, তার উপর রপ্তানিতে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের খবর। দুইয়ে মিলেই কমেছে দাম। খুচরা বিক্রেতারা দাম আরও কমার অপেক্ষায়। খাতুনগঞ্জে বেচাকেনা কমে গেছে। হঠাৎ মূল্য হ্রাসে মাথায় হাত পাইকার ও আমদানিকারকদের।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই পণ্যগুলো বাজারে এসেছে। বেশি দামে আমরা কিনেছি। এখন হঠাৎ করে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমানোর যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই পণ্য এখনো বাজারে না আসলেও ভালো প্রভাব পড়েছে।

এমন অবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পাকিস্তান ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

মেসার্স শাহ মোহসেন আউলিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জসিম বলেন, ১০৪-১০৫ টাকা পড়তার মাল আজকেই ৯০ টাকা। ১৫ টাকা কেজিতে নেই। যারা কিনেছে তারা ক্ষতির সম্মুখীন। আরো লোকসানে এগুলো বিক্রি করতে হবে।

মেসার্স মা ট্রেডার্সের ম্যানেজার মো. রিফাত বলেন, সবাই আতঙ্কে আছে। ২০-৩০ টাকা কমবে। এক কেজিতে ২০ টাকা কমলে বস্তায় ১ হাজার টাকা কমবে।তবে ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ আসতে দুই তিন দিন সময় লাগতে পারে।

মেসার্স মদীনা ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, খবরটা যখন সারাদেশের কাঁচাবাজারে ছড়িয়ে পড়েছে তখন থেকে এর দাম নিম্নমুখী। গতকাল যে পেঁয়াজের দাম ক্রেতারা ১০০ বলেছে এখন তা ৯০ টাকা। ক্রেতা সংকটও রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেঁয়াজ রপ্তানিতে মূল্যসীমা প্রত্যাহার ভারতের, দেশে কমছে দাম

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানিতে বেঁধে দেয়া নূন্যতম মূল্য ভারত প্রত্যাহার করে নেয়ার পরপরই দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা। দু’তিন দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমে আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। তবে এরইমাঝে যারা পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন এ খবরে তারা লোকসানে পড়বেন বলে শঙ্কা করছেন।

দীর্ঘ সময় ধরেই দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। ফলে বিকল্প হিসেবে অনেকেই পাকিস্তান, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। ভারতীয় পেঁয়াজের সাথে সেগুলোর পার্থক্য ছিল বিশ টাকার উপরে। তাই চাহিদাও তৈরি হয়। এমন অবস্থায় দেশে আমদানি হয় পাকিস্তান ও চীনের পেঁয়াজ।

তবে চারমাস পর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্যসীমা তুলে নেয়ার পর থেকেই দেশের বাজারে নিম্নমুখী নিত্যপণ্যটির দাম। বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১০৩ টাকায়। একদিনেই দাম নেমে এসেছে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায়।

এদিকে, আড়ত ভর্তি দেশী এবং ভারতীয় পেঁয়াজ। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই। একে তো বৈরী আবহাওয়া, তার উপর রপ্তানিতে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের খবর। দুইয়ে মিলেই কমেছে দাম। খুচরা বিক্রেতারা দাম আরও কমার অপেক্ষায়। খাতুনগঞ্জে বেচাকেনা কমে গেছে। হঠাৎ মূল্য হ্রাসে মাথায় হাত পাইকার ও আমদানিকারকদের।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই পণ্যগুলো বাজারে এসেছে। বেশি দামে আমরা কিনেছি। এখন হঠাৎ করে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমানোর যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই পণ্য এখনো বাজারে না আসলেও ভালো প্রভাব পড়েছে।

এমন অবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পাকিস্তান ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

মেসার্স শাহ মোহসেন আউলিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন জসিম বলেন, ১০৪-১০৫ টাকা পড়তার মাল আজকেই ৯০ টাকা। ১৫ টাকা কেজিতে নেই। যারা কিনেছে তারা ক্ষতির সম্মুখীন। আরো লোকসানে এগুলো বিক্রি করতে হবে।

মেসার্স মা ট্রেডার্সের ম্যানেজার মো. রিফাত বলেন, সবাই আতঙ্কে আছে। ২০-৩০ টাকা কমবে। এক কেজিতে ২০ টাকা কমলে বস্তায় ১ হাজার টাকা কমবে।তবে ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ আসতে দুই তিন দিন সময় লাগতে পারে।

মেসার্স মদীনা ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, খবরটা যখন সারাদেশের কাঁচাবাজারে ছড়িয়ে পড়েছে তখন থেকে এর দাম নিম্নমুখী। গতকাল যে পেঁয়াজের দাম ক্রেতারা ১০০ বলেছে এখন তা ৯০ টাকা। ক্রেতা সংকটও রয়েছে।