ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাবনার পদ্মা ও যমুনায় রাতে চলছে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৯৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শফিউল আযম :
পাবনার পদ্মা ও যমুনা নদীতে রাতে অবাধে চলছে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ শিকার। মৎস্যসম্পদ রক্ষা এবং ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মওসুমে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২টি নদীর প্রায় ৭৫ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী চলছে ইলিশ মাছ শিকার। জেলেদের রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে নৌপুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বন্ধ হচ্ছে না ইলিশ শিকার। ইলিশ মাছ বেচা-কেনার জন্য রাতে বেড়া ও সুজানগর উপজেলার কয়েকটি চরে অস্থায়ী ইলিশের বাজার বসছে। এসব বাজারে চলছে ইলিশ বেচাকেনা।

ইলিশের প্রজনন মওসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেড়ার মোহনগঞ্জ থেকে ঢালারচরের বারকোদালিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ২৫ কিলোমিটার, বারোকোদালিয়া থেকে পাবনা সদর পর্যন্ত পদ্মায় ৪০ কিলোমিটার এলাকায় অবাধে চলছে মা ইলিশ শিকার। জেলেরা নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ ও আলো নিভিয়ে রাতে ইলিশ শিকার করছে। তাদের জালে ডিমওয়ালা ইলিশের সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ধরা পড়ছে । প্রতিটি জালে মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে ধরা পড়ছে প্রায় ৫ থেকে ১০ কেজি মা ইলিশ। এসব ইলিশ আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় আকারের এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নদী পাড়ের চর এলাকাতে জেলেরা বাজার বসিয়ে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। একটু কম দামে ইলিশ কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা হুমড়ী খেয়ে পড়ছে।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকী দিয়ে রাতে নদীতে ইলিশ ধরছে জেলেরা। স্থানীয় প্রশাসন দিনে মাঝে মধ্যে ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছে। তাতে থামছে না মা ইলিশ শিকার। জেলেরা ইলিশ শিকারের কৌশল পালটেছে। তারা রাতে ইলিশ শিকার করছে। কারণ রাতে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে না। রাতে ইলিশ শিকারের জন্য স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নৌকা প্রতি নির্ধারিত অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হয়। জেলেরা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে সরকারিভাবে তাদের যে সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল, তা তারা পাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে তারা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন।

সরেজমিন বেড়ার ঢালারচরের বারকোদালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ৩ থেকে ৪ জন করে জেলে মাছ ধরায় ব্যস্ত আছে। কেউ জাল ফেলছে, কেউ তুলছে আবার কেউবা নৌকা নিয়ন্ত্রন করছেন। ঢালারচরের যমুনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থল সেখানে বেশ কিছু নৌকা মাছ শিকার করছে। কিছু সময় পর সেখানে প্রায় ২০ কেজি মাছ শিকার করে ফিরে আসা জেলে শৈলেন হলদার বলেন, পেটে দিলে পিঠে সয়। নিষেধাজ্ঞা দেবেন অথচ খাবার দেবেন না, তাহলে আমরা না খেয়ে মরবো। অপর জেলে ভিকু হলদার বলেন, ‘শুনছিলাম মৎস্য অফিস এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাগের চাল দেবে’। চালতো দেয়া দুরের কথা, একবারের জন্য জিজ্ঞাসা করে নাই আমরা কেমন আছি। বরং যারা তাগের ফাঁকি দিয়ে নদীতে নামতাছে তাগরে ধইরা নিয়ে জেলে ঢুকাইয়া দিতাছে।

একাধিক জেলে বলেন, যে সময় নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায় সে সময় মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় মাছ ধরতে নদীতে নামলেই জাল নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে জেল জরিমানা করা হয়। কিন্তু মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে ? এ জন্য বাধ্য হয়েই জেল-জরিমানার ভয় না করে মাছ ধরতে নদীতে নামছেন তারা। তাছাড়া কোন সাহায়্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এ সময় তারা সাহায্য-সহযোগিতা পেলে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতেন।

জেলে যোগেশ হলদার বলেন, নদীর পাড়ে বসবাস করা বেশির ভাগ জেলেই দিন আনে দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। একদিন নদীতে মাছ না ধরলে তাদের পরিবারের সদস্যদের অনাহার আর অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। তাই প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারির সাথে সাথে যদি চাল বিতরন করত তাহলে জেলেরা নদীতে নামতে আর সাহস পেত না। এ কার্যক্রমটা আরো বেগবান হতো। গত বছরে তাদের কোন চাল দেয়া হয়নি। তাই জরুরি ভিত্তিতে তিনি তাদের মাঝে চাল বিতরনের দাবি জানান। এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিনই জেলা-উপজেলা মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পদ্ম্ ও যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হচ্ছে জেলেদের। জব্দ করা হচ্ছে কারেন্ট জাল ও মাছ। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক জেলেদের করা হচ্ছে জরিমানা এবং দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড। পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে জাল।

এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম জানান, তাদের জনবল সঙ্কট রয়েছে, অভিযানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহযোগীতা করছে। নদীতে অব্যাহত অভিযানের জন্য একটি সি-বোট দরকার। জেলেদের ধরতে আমরা যে নৌযান ব্যবহার করি তার চেয়ে জেলেদের নৌযানের গতি অনেক বেশি থাকে। ফলে অভিযানে নামলেই তারা দ্রæত পালিয়ে যায়। তারপরও অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

বেড়ার নগরবাড়ী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নৌ-পুলিশ দিনে যমুনা নদীতে টহল দেয়। এ সময় মাছ ধরার কোন সুযোগ নেই। তারা রাতের অন্ধকারে মাছ শিকার করে দূর্গম চরে নিয়ে বিক্রি করছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তারা সরে পড়ে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সবুর আলী জানান, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। একাধিক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি আটক করে ধংস করা হয়। এসময় আটক তিনজনকে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাবনার পদ্মা ও যমুনায় রাতে চলছে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

শফিউল আযম :
পাবনার পদ্মা ও যমুনা নদীতে রাতে অবাধে চলছে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ শিকার। মৎস্যসম্পদ রক্ষা এবং ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মওসুমে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২টি নদীর প্রায় ৭৫ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী চলছে ইলিশ মাছ শিকার। জেলেদের রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে নৌপুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বন্ধ হচ্ছে না ইলিশ শিকার। ইলিশ মাছ বেচা-কেনার জন্য রাতে বেড়া ও সুজানগর উপজেলার কয়েকটি চরে অস্থায়ী ইলিশের বাজার বসছে। এসব বাজারে চলছে ইলিশ বেচাকেনা।

ইলিশের প্রজনন মওসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেড়ার মোহনগঞ্জ থেকে ঢালারচরের বারকোদালিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ২৫ কিলোমিটার, বারোকোদালিয়া থেকে পাবনা সদর পর্যন্ত পদ্মায় ৪০ কিলোমিটার এলাকায় অবাধে চলছে মা ইলিশ শিকার। জেলেরা নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ ও আলো নিভিয়ে রাতে ইলিশ শিকার করছে। তাদের জালে ডিমওয়ালা ইলিশের সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ধরা পড়ছে । প্রতিটি জালে মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে ধরা পড়ছে প্রায় ৫ থেকে ১০ কেজি মা ইলিশ। এসব ইলিশ আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় আকারের এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নদী পাড়ের চর এলাকাতে জেলেরা বাজার বসিয়ে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। একটু কম দামে ইলিশ কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা হুমড়ী খেয়ে পড়ছে।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকী দিয়ে রাতে নদীতে ইলিশ ধরছে জেলেরা। স্থানীয় প্রশাসন দিনে মাঝে মধ্যে ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছে। তাতে থামছে না মা ইলিশ শিকার। জেলেরা ইলিশ শিকারের কৌশল পালটেছে। তারা রাতে ইলিশ শিকার করছে। কারণ রাতে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে না। রাতে ইলিশ শিকারের জন্য স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নৌকা প্রতি নির্ধারিত অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হয়। জেলেরা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে সরকারিভাবে তাদের যে সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল, তা তারা পাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে তারা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন।

সরেজমিন বেড়ার ঢালারচরের বারকোদালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ৩ থেকে ৪ জন করে জেলে মাছ ধরায় ব্যস্ত আছে। কেউ জাল ফেলছে, কেউ তুলছে আবার কেউবা নৌকা নিয়ন্ত্রন করছেন। ঢালারচরের যমুনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থল সেখানে বেশ কিছু নৌকা মাছ শিকার করছে। কিছু সময় পর সেখানে প্রায় ২০ কেজি মাছ শিকার করে ফিরে আসা জেলে শৈলেন হলদার বলেন, পেটে দিলে পিঠে সয়। নিষেধাজ্ঞা দেবেন অথচ খাবার দেবেন না, তাহলে আমরা না খেয়ে মরবো। অপর জেলে ভিকু হলদার বলেন, ‘শুনছিলাম মৎস্য অফিস এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাগের চাল দেবে’। চালতো দেয়া দুরের কথা, একবারের জন্য জিজ্ঞাসা করে নাই আমরা কেমন আছি। বরং যারা তাগের ফাঁকি দিয়ে নদীতে নামতাছে তাগরে ধইরা নিয়ে জেলে ঢুকাইয়া দিতাছে।

একাধিক জেলে বলেন, যে সময় নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায় সে সময় মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় মাছ ধরতে নদীতে নামলেই জাল নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে জেল জরিমানা করা হয়। কিন্তু মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে ? এ জন্য বাধ্য হয়েই জেল-জরিমানার ভয় না করে মাছ ধরতে নদীতে নামছেন তারা। তাছাড়া কোন সাহায়্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এ সময় তারা সাহায্য-সহযোগিতা পেলে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতেন।

জেলে যোগেশ হলদার বলেন, নদীর পাড়ে বসবাস করা বেশির ভাগ জেলেই দিন আনে দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। একদিন নদীতে মাছ না ধরলে তাদের পরিবারের সদস্যদের অনাহার আর অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। তাই প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারির সাথে সাথে যদি চাল বিতরন করত তাহলে জেলেরা নদীতে নামতে আর সাহস পেত না। এ কার্যক্রমটা আরো বেগবান হতো। গত বছরে তাদের কোন চাল দেয়া হয়নি। তাই জরুরি ভিত্তিতে তিনি তাদের মাঝে চাল বিতরনের দাবি জানান। এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিনই জেলা-উপজেলা মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পদ্ম্ ও যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হচ্ছে জেলেদের। জব্দ করা হচ্ছে কারেন্ট জাল ও মাছ। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক জেলেদের করা হচ্ছে জরিমানা এবং দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড। পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে জাল।

এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম জানান, তাদের জনবল সঙ্কট রয়েছে, অভিযানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহযোগীতা করছে। নদীতে অব্যাহত অভিযানের জন্য একটি সি-বোট দরকার। জেলেদের ধরতে আমরা যে নৌযান ব্যবহার করি তার চেয়ে জেলেদের নৌযানের গতি অনেক বেশি থাকে। ফলে অভিযানে নামলেই তারা দ্রæত পালিয়ে যায়। তারপরও অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

বেড়ার নগরবাড়ী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নৌ-পুলিশ দিনে যমুনা নদীতে টহল দেয়। এ সময় মাছ ধরার কোন সুযোগ নেই। তারা রাতের অন্ধকারে মাছ শিকার করে দূর্গম চরে নিয়ে বিক্রি করছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তারা সরে পড়ে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সবুর আলী জানান, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। একাধিক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি আটক করে ধংস করা হয়। এসময় আটক তিনজনকে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।