ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকুন্দিয়ায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২০৯০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ //

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার নামা লক্ষীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রুবেল মিয়া, আলাল মিয়া, মুখলেছুর রহমান, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া ও মুক্তার মিয়া নামে ৭ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুবেল মিয়া।

তিনি বলেন, পৌর এলাকার নামা লক্ষীয়া মৌজায় ১ নম্বর খতিয়ানে ১৫৩৩ দাগে ১৭ শতাংশ জমির একটি সরকারি হালট রয়েছে। এই হালট দিয়ে শত বছর ধরে ওই এলাকার শত শত মানুষ চলাচল করে আসছে। গত ১৭ এপ্রিল রাতে পাশের বাড়ির নিখিল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি দল ওই হালটের মাঝখানে একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। পরে ১৮ এপ্রিল সকালে এলাকাবাসী ওই রান্নাঘর ও টয়লেটটি ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিখিল চন্দ্রের ভাতিজা সুমন সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার এর নেতৃত্বে উভয় পক্ষের সার্ভেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে জায়গাটি মাপা হয়। মাপার পর জানা যায় যে, বিরোধপূর্ণ জায়গাটি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি একটি সরকারি হালট। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ওই জায়গাটির সীমানা নির্ধারণ করে বাঁশের খুটি পুতে রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)। পরে সহকারি কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত না মেনে সুমন সরকার বাদী হয়ে ওই হালটটিকে নিজের সম্পত্তি দাবি করে ওই এলাকার ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত টাইবুন্যাল আদালতে একটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে সুমন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারি কমিশানার তানিয়া আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে জায়গাটি সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মাপিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এসেছি। এটি কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। এটি একটি সরকারি হালট।

পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, বিরোধপূর্ণ জায়গাটি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উভয় পক্ষের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গাটি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এসেছি। এটি একটি সরকারি হালট।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলাল উদ্দিন, মুখলেছুর রহমান, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া ও মুক্তার মিয়া।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাকুন্দিয়ায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

// আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ //

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার নামা লক্ষীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রুবেল মিয়া, আলাল মিয়া, মুখলেছুর রহমান, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া ও মুক্তার মিয়া নামে ৭ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুবেল মিয়া।

তিনি বলেন, পৌর এলাকার নামা লক্ষীয়া মৌজায় ১ নম্বর খতিয়ানে ১৫৩৩ দাগে ১৭ শতাংশ জমির একটি সরকারি হালট রয়েছে। এই হালট দিয়ে শত বছর ধরে ওই এলাকার শত শত মানুষ চলাচল করে আসছে। গত ১৭ এপ্রিল রাতে পাশের বাড়ির নিখিল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি দল ওই হালটের মাঝখানে একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। পরে ১৮ এপ্রিল সকালে এলাকাবাসী ওই রান্নাঘর ও টয়লেটটি ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিখিল চন্দ্রের ভাতিজা সুমন সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার এর নেতৃত্বে উভয় পক্ষের সার্ভেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে জায়গাটি মাপা হয়। মাপার পর জানা যায় যে, বিরোধপূর্ণ জায়গাটি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি একটি সরকারি হালট। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ওই জায়গাটির সীমানা নির্ধারণ করে বাঁশের খুটি পুতে রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)। পরে সহকারি কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত না মেনে সুমন সরকার বাদী হয়ে ওই হালটটিকে নিজের সম্পত্তি দাবি করে ওই এলাকার ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত টাইবুন্যাল আদালতে একটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে সুমন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারি কমিশানার তানিয়া আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে জায়গাটি সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মাপিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এসেছি। এটি কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। এটি একটি সরকারি হালট।

পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, বিরোধপূর্ণ জায়গাটি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উভয় পক্ষের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গাটি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এসেছি। এটি একটি সরকারি হালট।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলাল উদ্দিন, মুখলেছুর রহমান, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া ও মুক্তার মিয়া।