স্পোর্টস ডেস্ক
সবকিছুই ভারত সরকারের হাতে। তবে দুয়ার খুলতে শুরু করেছে। সেই ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বুকে সবশেষ পা পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সেবারের সেই এশিয়া কাপের পর থেকে প্রায় ১৪ বছর কেটে গেছে। এই সময় পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ও বহুজাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে বেশ কয়েকবার ভারত সফর করলেও মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলিদের পা পড়েনি পাকিস্তানে। সেই অচলাবস্থাটা শেষ হতে পারে আগামী বছর।
ভারত সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তান গিয়েছিল ২০০৬ সালে। ওয়ানডেতে যা ছিল এমএস ধোনির উত্থানের সিরিজ। পাকিস্তান ২০১২ সালের শেষে সর্বশেষ ভারত সফরে এসেছিল। এরপর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ।
আগামী বছরের শেষে ভারতে বসবে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ। তার আগে বছরের মাঝ বরাবর পাকিস্তানে রাখা হয়েছে পঞ্চাশ ওভারের এশিয়া কাপ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ওই আসর খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে ১৬ অক্টোবর মুম্বাইতে বসা বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনা করবে।
ওইদিন ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন রজার বিনি। সেক্রেটারি থাকবেন জয় শাহ। তিনি আবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রেসিডেন্ট। বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় এশিয়া কাপে তিনি দল পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদী। কারণ পাকিস্তান সফরে ভারত না গেলে পিসিবি বিশ্বকাপ থেকে দল প্রত্যাহারের হুমকি দিতে পারে।
তখন বিসিসিআই-এর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে আইসিসি। বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছেন, পূর্বের মতোই বিষয়টি ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার উপর নির্ভর করবে।
নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও আপাতত দুই দলের সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৈশ্বিক ও এশিয়ার আসর দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার মঞ্চ। গত দশ বছরে এশিয়ার আসর ভারত কিংবা পাকিস্তানে বসেনি তাই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে থাকায় এবং তার প্রভাব ক্রিকেটে থাকায় দুই দলের ক্রিকেটারদের বর্ডার পার হওয়া হয়নি।
২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভিসা দেওয়া নিয়ে তৈরি হচ্ছিল জটিলতা। এর মধ্যেই আসরটি করোনার মধ্যে সরে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগামী বছর তাই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সীমান্ত পার হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।