ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছায় গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মিলছেনা শাপলার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা 
মাত্র কয়েক বছর আগেও খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল-বিলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে হাজার হাজার শাপলা ফুল। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত সকলের। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুড়লেও এর দেখা মিলছেনা। তবে পরিবেশবিদরা বলেছেন, জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করায় ও জলবায়ু পরিবর্তন জণিত কারণে শাপলা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, খাল, বিল ও জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মাতো এগুলো। শাপলার বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে লাল ও সাদা রংয়ের শাপলার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাকায় খাদ্য উপকরণ হিসেবে দেশব্যাপী প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক সময় এলাকার মানুষ এর ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজতো। তবে লাল রংয়ের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় চুলকানী ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকার বয়স্করা জানান, সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ও লাল রঙের শাপলা ওষুধিগুণে সমৃদ্ধ বলে পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে মানুষের প্রয়োজনে আবাদি জমি ভরাট করে বাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের বানানোর ফলে প্রাকৃতিকভাবে শাপলা জন্মানোর জায়গাও কমে গেছে।
চাঁদখালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ফাতিমা তুজ জোহুরা (রুপা) জানান, বেশ কয়েক রংয়ের শাপলা রয়েছে। এর মধ্যে লাল ও সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ভোজন রসিকরা খায়। বর্তমানে খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের কারণে শাপলা কমে গেছে।
গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস ছালাম কেরু জানান, জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষাবাদের কারণে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের কারণে শাপলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয়গুলো দিন দিন শুকিয়ে যাওয়াসহ পানিতে লবনাক্ততার পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে শাপলার বংশ বিস্তার দিন দিন কমে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাইকগাছায় গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মিলছেনা শাপলার

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা 
মাত্র কয়েক বছর আগেও খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল-বিলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে হাজার হাজার শাপলা ফুল। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত সকলের। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুড়লেও এর দেখা মিলছেনা। তবে পরিবেশবিদরা বলেছেন, জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করায় ও জলবায়ু পরিবর্তন জণিত কারণে শাপলা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, খাল, বিল ও জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মাতো এগুলো। শাপলার বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে লাল ও সাদা রংয়ের শাপলার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাকায় খাদ্য উপকরণ হিসেবে দেশব্যাপী প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক সময় এলাকার মানুষ এর ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজতো। তবে লাল রংয়ের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় চুলকানী ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকার বয়স্করা জানান, সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ও লাল রঙের শাপলা ওষুধিগুণে সমৃদ্ধ বলে পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে মানুষের প্রয়োজনে আবাদি জমি ভরাট করে বাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের বানানোর ফলে প্রাকৃতিকভাবে শাপলা জন্মানোর জায়গাও কমে গেছে।
চাঁদখালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ফাতিমা তুজ জোহুরা (রুপা) জানান, বেশ কয়েক রংয়ের শাপলা রয়েছে। এর মধ্যে লাল ও সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ভোজন রসিকরা খায়। বর্তমানে খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের কারণে শাপলা কমে গেছে।
গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস ছালাম কেরু জানান, জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষাবাদের কারণে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাটের কারণে শাপলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয়গুলো দিন দিন শুকিয়ে যাওয়াসহ পানিতে লবনাক্ততার পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে শাপলার বংশ বিস্তার দিন দিন কমে যাচ্ছে।