ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছায় খাস জমি ভরাট করে অবৈধ কয়লার চুল্লি নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালীতে সরকারী খাস জমি ভরাট করে অবৈধ কয়লার চুল্লি নির্মানের চেষ্টায় দু’প্রভাবশালির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামের দুই প্রভাবশালি রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তারা দু’জনেই ঐ গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর পুত্র।
সরেজমিন তদন্তে ও স্থানীয় এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী বাজার হতে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বদর দরগাঁ মসজিদ সংলগ্ন চককাওয়ালী মৌজার এসএ ৩৩১ও আরএস ২৪১ দাগের ১নং খাস খতিয়ানের কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি ২ একরের ও বেশি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে দখলে রেখেছেন দুই প্রভাবশালী রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজি । তবে সম্প্রতি  সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ওই জায়গার অর্ধেক অংশে তারা মাটি কেটে বড় বড় পুকুর খনন করেছেন এবং খননকৃত ঐ মাটি তারা জমির বাকী অংশ ভরাট করে অবৈধভাবে কয়লার চুল্লি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সরেজমিনে যেয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে ।
ওই সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, তারা এতটাই প্রভাবশালী যে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তারা তাদের কে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়। এজন্য তাদের অপকর্ম সকলে মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে। এই জমি ছাড়া আশ পাশের আরো অনেক সরকারি জমি তারা প্রভাব খাটিয়ে জোর-জবরানে নিজেদের কব্জায় রেখেছে। শুধু এসব করে তারা ক্ষান্ত হয়নি ববং স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা বেগমের স্বামী মৃত জয়নাল মোড়লের মৃত্যু সনদ পত্রটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে জমি ও রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজি জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর মূলে এই জমি ভোগ দখলে আছি। তবে সরকারী খাস জমি থেকে মাটি কেটে ভরাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই জায়গায় মাটি কেটে ভরাট করে চুল্লি ও খামারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ ব্যাপারে লস্কর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মীর রেজওয়ান বলেন, সরকারি কোনো নিয়মনীতির বাইরে কোনো কাজ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছায় খাস জমি ভরাট করে অবৈধ কয়লার চুল্লি নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালীতে সরকারী খাস জমি ভরাট করে অবৈধ কয়লার চুল্লি নির্মানের চেষ্টায় দু’প্রভাবশালির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চককাওয়ালী গ্রামের দুই প্রভাবশালি রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তারা দু’জনেই ঐ গ্রামের মৃত আনছার আলী গাজীর পুত্র।
সরেজমিন তদন্তে ও স্থানীয় এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী বাজার হতে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বদর দরগাঁ মসজিদ সংলগ্ন চককাওয়ালী মৌজার এসএ ৩৩১ও আরএস ২৪১ দাগের ১নং খাস খতিয়ানের কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি ২ একরের ও বেশি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে দখলে রেখেছেন দুই প্রভাবশালী রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজি । তবে সম্প্রতি  সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ওই জায়গার অর্ধেক অংশে তারা মাটি কেটে বড় বড় পুকুর খনন করেছেন এবং খননকৃত ঐ মাটি তারা জমির বাকী অংশ ভরাট করে অবৈধভাবে কয়লার চুল্লি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সরেজমিনে যেয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে ।
ওই সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, তারা এতটাই প্রভাবশালী যে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তারা তাদের কে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়। এজন্য তাদের অপকর্ম সকলে মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে। এই জমি ছাড়া আশ পাশের আরো অনেক সরকারি জমি তারা প্রভাব খাটিয়ে জোর-জবরানে নিজেদের কব্জায় রেখেছে। শুধু এসব করে তারা ক্ষান্ত হয়নি ববং স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা বেগমের স্বামী মৃত জয়নাল মোড়লের মৃত্যু সনদ পত্রটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে জমি ও রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে রেজাউল গাজি ও সিরাজুল গাজি জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর মূলে এই জমি ভোগ দখলে আছি। তবে সরকারী খাস জমি থেকে মাটি কেটে ভরাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই জায়গায় মাটি কেটে ভরাট করে চুল্লি ও খামারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ ব্যাপারে লস্কর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মীর রেজওয়ান বলেন, সরকারি কোনো নিয়মনীতির বাইরে কোনো কাজ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা/খ: এসআর।