দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক কোনো সফরে রাজশাহী আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আাগামী ২৯ জানুয়ারি তিনি রাজশাহীতে আসবেন। এদিন বিকেলে তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি ও সরকার প্রধানকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। নতুন বছরের শুরু থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহী মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সমাবেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা করছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধানের আগমনী বার্তায় পুরো রাজশাহী জুড়েই নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। শুধু রাজশাহীতেই নয় এই বিভাগের আশপাশের জেলাগুলোতেও এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনী উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কারণ এটি আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের পর প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর এ ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের বিশাল জনসভায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় রাজশাহীতে এ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর সব নেতাকর্মী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সিটি করপোরেশন এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা, প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন,সমাবেশকে সামনে রেখে এখন পরিকল্পনা ও কাজ দুটোই চলামান রয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে পুরো পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে ছয় থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মাদরাসা ময়দানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ঢল নামবে। আর এত মানুষ সামাল দেওয়া যাবে না। তাই মাদরাসা ময়দানের পাশে থাকা কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানেও মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর প্রবেশমুখসহ শহর জুড়ে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।পুরো মহানগরীকে উৎসবের আমেজে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মূলত ভোট চাইতেই আসছেন। এছাড়া আমাদের কিছু প্রত্যাশাও আছে। সেগুলো তাকে জানাবো। যোগ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
রাজশাহীর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য। তার নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া রাজশাহীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এখন দৃশ্যমান হয়েছে। মানুষ এখন সরাসরি তার সুফল ভোগ করছে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও গত এক দশকে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।