বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফরিদপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আসামি গ্রেপ্তার ফরিদপুরে ট্রেনের কাটায় বৃদ্ধের মৃত্যু  সেনাবাহিনীর উদ্যােগে শিক্ষার্থীদের প্রেষণামূলক ক্লাস ‘ফারুকের মৃত্যু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি’ নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ‘মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়’ ‘আদালত অবমাননা করেছেন মির্জা ফখরুল’ নির্যাতন যত বাড়বে আন্দোলন তত তীব্র হবে : নজরুল ইসলাম খান জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, সূচি চূড়ান্ত নারী প্রিমিয়ার লিগে হেরেছে আবাহনী ডামুড্যায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছায় মৎস্য চাষীদের মাঝে মৎস্য উপকরণ বিতরণ শ্বাসনালীতে মারবেল আটকে শিশুর মৃত্যু তালায় জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা তালায় খলিলনগর ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

পাঁচবিবিতে তীব্র তাপদাপে ঝড়ছে আমের গুঁটি : দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

// মোঃ জিহাদ মন্ডল, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি //

আম চাষের শুরুর দিকে গাছে গাছে বিপুল পরিমানে মুকুল আর সবুজ কচি আমের সমারোহ দেখে বুক ভরা আশা নিয়ে ছিলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আমচাষীরা। তারপর টানা খরা ও তীব্র তাপদাহের কবলে ঝরতে থাকে কাঁচা আমগুলো। বোঁটা শুঁকিয়ে গাছেই ফেটে  ঝরে পরছে বিপুল পরিমানে আম। ব্যাক্তিগতভাবে অল্প পরিমান আমগাছে কেউ কেউ পানি ছিটিয়ে সামান্য পরিমান আম রক্ষা করতে পারলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় হা-হুতাস করছেন অনেক আম বাগান মালিকরা। কৃষি বিভাগের কোন সহযোগীতা কিংবা পরামর্শও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ আমচাষীরা।

উপজেলার ধরঞ্জী, আয়মারসুলপুর, বাগজানা, বালিঘাটা ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের আমের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে প্রচুর আম ধরলেও তা প্রচন্ড খরা ও দাবদাহে আমের গুঁটিগুলো ফেটে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। অনেকেই নিজের বাগানের আমের গুঁটিগুলোকে রক্ষা করতে গাছের গোড়ায় পানি আবার অনেকেই গাছে কীটনাশক স্প্রে করছে।

উপজেলার বালিঘটা ইউনিয়নের পাটাবুকা গ্রামের আমচাষী মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর শুরুর দিকে আমের মুকুল ও গুঁটি ভালই হয়েছিল। কিন্তুু দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমের গুঁটিগুলো ঝরে পড়ে যায়। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও তা রক্ষা করা যাচ্ছে না। তবে খরচের তুলনায় আম বিক্রি করে খুব একটা লাভবান হওয়া যাবে এবার।

শ্রীমন্তপুর গ্রামের আমচাষি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার আমের বাগানটি মৌসুমের মধ্যম সময়েই পাইকারদের নিকট বিক্রি করে দিতাম। কিন্তুু এবার আবহাওয়া ভাল না থাকার কারণে পাইকার পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যে সব পাইকার বাগান কিনতে চাচ্ছে তাতে লাভবান হওয়ার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
উপজেলার কাঁচনা গ্রামের আব্দুল হাকিম বলেন, বাড়ী আশে পাশে আমার বেশ কিছু আমের গাছ আছে। সেই গাছের আম বাড়ীতে খাওয়া হতো। কিন্তুু এবার রোদ আর আকাশের পানি হওয়ার কারনে ঝরে পড়ে গেছে। তাই বাজার থেকে কিনে খাওয়া ছাড়া উপায় নাই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এবার উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে আম চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরো আম গাছ রয়েছে। এবার আমের ফলন ভাল হলেও তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমের গুঁটিগুলো ঝরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে আম চাষীদের গাছের গোড়ায় সেঁচ দেওয়ার পরামর্শ হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বা/খ: এসআর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *