ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন পিটার হাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি আরও বেশি সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে সহায়তা করার জন্যই এ ভিসানীতি।

পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। মাঝে মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, এটি তারই অংশ। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

নতুন ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়েও কথা বলেছি, যেটি গতকাল যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা নতুন ভিসানীতি করেছি। বাংলাদেশের মানুষ, সরকার, প্রধানমন্ত্রী এবং সবার জন্য এটি সহায়ক হবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য নতুন ভিসানীতি সহায়ক হবে।’

এর আগে দুপুরে মার্কিন নতুন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডন, পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার (২৪ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মাথাব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতি অনুযায়ী ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেবে না দেশটি।

প্রতিদিনই কোনো একটি জরুরি বিষয় নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন সংস্থাটির মুখপাত্র। বুধবার দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যে স্থান পায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার অংশ হিসেবে একটি নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেন তিনি। বিরোধী দল কোনো সহিংসতা করলে এ নীতির আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বাধা দিতে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় এমন কাউকে নতুন এ পলিসি অনুযায়ী ভিসা দেওয়া হবে না বলেও জানান ম্যাথিউ মিলনার।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব জনগণ, রাজনৈতিক দল, সরকার, আইন-শৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংবাদমাধ্যমসহ সবার।

নতুন এ ভিসা পলিসি কোনো নিষেধাজ্ঞা কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এটি কেবলই একটি ভিসা পলিসি, কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। নির্বাচন বানচাল কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টিকারীদের ভিসা না দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে আছে এমনটা নিশ্চিত করতেই এই ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজলের উদ্দেশ্যমূলক এক প্রশ্নে মার্কিন মুখপাত্র যে উত্তর দেন তাতে এটা স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন পিটার হাস

আপডেট সময় : ১১:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি আরও বেশি সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে সহায়তা করার জন্যই এ ভিসানীতি।

পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। মাঝে মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, এটি তারই অংশ। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

নতুন ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়েও কথা বলেছি, যেটি গতকাল যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা নতুন ভিসানীতি করেছি। বাংলাদেশের মানুষ, সরকার, প্রধানমন্ত্রী এবং সবার জন্য এটি সহায়ক হবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য নতুন ভিসানীতি সহায়ক হবে।’

এর আগে দুপুরে মার্কিন নতুন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর স্কট ব্র্যান্ডন, পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার (২৪ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মাথাব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতি অনুযায়ী ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেবে না দেশটি।

প্রতিদিনই কোনো একটি জরুরি বিষয় নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন সংস্থাটির মুখপাত্র। বুধবার দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যে স্থান পায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার অংশ হিসেবে একটি নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেন তিনি। বিরোধী দল কোনো সহিংসতা করলে এ নীতির আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বাধা দিতে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় এমন কাউকে নতুন এ পলিসি অনুযায়ী ভিসা দেওয়া হবে না বলেও জানান ম্যাথিউ মিলনার।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব জনগণ, রাজনৈতিক দল, সরকার, আইন-শৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংবাদমাধ্যমসহ সবার।

নতুন এ ভিসা পলিসি কোনো নিষেধাজ্ঞা কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এটি কেবলই একটি ভিসা পলিসি, কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। নির্বাচন বানচাল কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা সৃষ্টিকারীদের ভিসা না দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে আছে এমনটা নিশ্চিত করতেই এই ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজলের উদ্দেশ্যমূলক এক প্রশ্নে মার্কিন মুখপাত্র যে উত্তর দেন তাতে এটা স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।