নোয়াখালীতে এক মানব পাচার কারী আটক, চার নারী উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সোহেলকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে মানব পাচারকারী চক্রের কবল থেকে চার নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সোহেল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এনে চার নারীর এনআইডি কার্ড তৈরীর চেষ্টাকালে মানব পাচারকারী চক্রের এ সদস্যকে আটক করা হয়।
ওসি আরো জানায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা মোছাস্মৎ ছামিরা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫জনকে আসামি করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চার নারী আর্থিকভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিন যাপন করেন। এ সুযোগে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের পাচার করার জন্য বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিয়ে আসছে। এতে তারা প্ররোচিত হলে গত শনিবার ১২ নভেম্বর বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাদের নিজ বাড়ী থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিদেশ যেতে পাসপোর্ট তৈরির জন্য এনআইডি কার্ড করার কথা বলে গতকাল বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আনা হয়। তারপর পাচারকারী চক্রের হোতা সিদ্দিকের বাড়ীতে রেখে এনআইডি কার্ড করার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই চার নারীকে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবি উঠানোর জন্য নেওয়া হলে স্থানীয় লোকজন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের স্থায়ী নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের পাচার করার কৌশল বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
বা/খ:জই