নেতানিয়াহুর অবতরণের সময় বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও লেবাননে চলমান আগ্রাসনের জবাবে এবার দখলদার ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে এসে মধ্যপ্রাচ্যের কসাই খ্যাত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় এ হামলা চালানো হয়।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার বেন গুরিয়নে হামলা চালাতে ফিলিস্তিনি-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। খবর পার্সটুডে ও ইয়াহু নিউজের।
ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তারা ইসরাইলবিরোধী সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়াতে কোনো দ্বিধা করবে না।
ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং গাজা ও লেবাননে দখলদার ইসরাইলের চলমান অপরাধযজ্ঞের জবাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, এদিন ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলি আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের ভেতরে সাইরেন বেজে ওঠে। তবে বিমানবন্দরে আঘাত হানার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিধ্বস্ত করা হয় বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর নিহত হওয়ার একদিনের মাথায় এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইয়েমেন।
এর আগে শুক্রবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ দুই দফা হামলা চালিয়েছে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।
ইরান সমর্থিত ইয়েমেনি বাহিনী বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি জানিয়ে এই অঞ্চলে ইসরাইলগামী বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গণ্য করছে। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ না হলে হামলা চলবে।