ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচনে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে

তিব্বত কলোনি বাজার সংলগ্ন রাস্তায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের’ প্রতিবাদে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করা পর্যন্ত লড়াই চলবে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ভিশন খেপে গেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল গোসসা হয়ে গেছেন। তিনি বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন নাকি মাগুরার উপ-নির্বাচনের দাদা, নির্বাচন কিন্তু এখনো হয়নি। নির্বাচন হবে আগামীকাল। সকাল ১০টার মধ্যে ভোট শেষ, ১০টার পরে আর ভোট নেই, সেই নির্বাচন হবে না। মাগুরা মার্কা ফি স্টাইল নির্বাচন আগামীতে আর হবে না। ফখরুল সাহেব, মাগুরা স্টাইলের নির্বাচন হবে না। মাগুরার দাদাও হবে না, নানাও হবে না। সেখানে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই তবে একজনকে সমর্থন দিয়েছি আমরা। তার অর্থ এই নয়, আমরা নির্বাচনের নিয়ম লঙ্ঘন করছি। ফখরুল সাহেব আগামীকাল সকাল থেকে সারাদিন নির্বাচন দেখেন। মাগুরার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, আমি আজই বলে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করা পর্যন্ত লড়াই চলবে। এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের দম ফুরিয়ে গেছে বলে নীরব শোভাযাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কী খবর? কী খবর? সবাই বলে ভুয়া। সরকার পতন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, বিএনপির ৫৪ দল, বিএনপির ২৭ দফা, ১০ দফা, ১৪ দফা, অবশেষে পদযাত্রা, ভুয়া। ভুয়া। ভুয়া। মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তার মুখের বিষ তখন উগরে ওঠে। বিএনপির নেতাদের শক্তি কমে আসছে, দম ফুরিয়ে আসছে, দম ফুরিয়ে গেছে বলে লাফালাফি বন্ধ করে এখন নীরব পদযাত্রা। কেউ মারা গেলে যেমন নীরব পদযাত্রা হয় বিএনপির পদযাত্রাটা অনেকটা একইরকম। এ দিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন ভুয়া।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলা ভাই, শায়েখ রহমান সৃষ্টি করেছে, যারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, যারা সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটিয়েছে আমার এই জন্মভূমিতে, সেই অন্ধকার যুগে বাংলাদেশ আর ফিরে যাবে না।

তারেক রহমানকে কাপুরুষের আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সৎ-সাহস থাকলে আসুন, লন্ডন থেকে হুংকার ছাড়ুন, দেশে আসুন। সৎ সাহস থাকলে এখানে এসে রাজনীতি করুন। আপনি তো কাপুরুষ। রাজনীতি আর করব না মুচলেখা দিয়ে জরুরি সরকারের কাছে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। ২০০৭ থেকে ১৫-১৬ বছর। তিনি আর ফিরে আসেন না। বাংলাদেশে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে না। আর বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লন্ডনে বসে হুঙ্কার দিচ্ছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আলো থেকে অন্ধকারে আর ফিরে যাব না বাংলাদেশ। যারা এ দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, তাদের মন্ত্রিত্ব দিয়েছে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, যারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানকে সৃষ্টি করেছে, যারা বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের সেই হাওয়া ভবনের অন্ধকারে আর ফিরে যাবে না বাংলাদেশে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহারানি ভিক্টোরিয়ার মতো ক্ষমতায় বসবেন! সেই দিন চলে গেছে। সেই দিন ফিরে কি আসবে আর কোনদিন? স্বপ্ন দেখা ভালো। কিন্তু দিনের বেলায় নয়। দিনের বেলা যে স্বপ্ন দেখে তাকে কী বলে? দিবাস্বপ্ন। ওই দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নাই।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খেলা তো হবে, রেডি আছেন? আসল খেলা আগামী জানুয়ারিতে, ফাইনাল খেলা আগামী নির্বাচন। খেলা হবে। নৌকা চলছে, চলবে নৌকা। নৌকা চলে ভাসিয়া, ভোট দিবেন আসিয়া। তৈয়ার হয়ে যান, অন্ধকারে আর ফিরে যাব না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম মান্নান কচি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের ৫টি আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না : কাদের

আপডেট সময় : ০৮:১২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের’ প্রতিবাদে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করা পর্যন্ত লড়াই চলবে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ভিশন খেপে গেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল গোসসা হয়ে গেছেন। তিনি বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন নাকি মাগুরার উপ-নির্বাচনের দাদা, নির্বাচন কিন্তু এখনো হয়নি। নির্বাচন হবে আগামীকাল। সকাল ১০টার মধ্যে ভোট শেষ, ১০টার পরে আর ভোট নেই, সেই নির্বাচন হবে না। মাগুরা মার্কা ফি স্টাইল নির্বাচন আগামীতে আর হবে না। ফখরুল সাহেব, মাগুরা স্টাইলের নির্বাচন হবে না। মাগুরার দাদাও হবে না, নানাও হবে না। সেখানে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই তবে একজনকে সমর্থন দিয়েছি আমরা। তার অর্থ এই নয়, আমরা নির্বাচনের নিয়ম লঙ্ঘন করছি। ফখরুল সাহেব আগামীকাল সকাল থেকে সারাদিন নির্বাচন দেখেন। মাগুরার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, আমি আজই বলে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করা পর্যন্ত লড়াই চলবে। এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের দম ফুরিয়ে গেছে বলে নীরব শোভাযাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কী খবর? কী খবর? সবাই বলে ভুয়া। সরকার পতন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, বিএনপির ৫৪ দল, বিএনপির ২৭ দফা, ১০ দফা, ১৪ দফা, অবশেষে পদযাত্রা, ভুয়া। ভুয়া। ভুয়া। মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তার মুখের বিষ তখন উগরে ওঠে। বিএনপির নেতাদের শক্তি কমে আসছে, দম ফুরিয়ে আসছে, দম ফুরিয়ে গেছে বলে লাফালাফি বন্ধ করে এখন নীরব পদযাত্রা। কেউ মারা গেলে যেমন নীরব পদযাত্রা হয় বিএনপির পদযাত্রাটা অনেকটা একইরকম। এ দিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন ভুয়া।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলা ভাই, শায়েখ রহমান সৃষ্টি করেছে, যারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, যারা সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটিয়েছে আমার এই জন্মভূমিতে, সেই অন্ধকার যুগে বাংলাদেশ আর ফিরে যাবে না।

তারেক রহমানকে কাপুরুষের আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সৎ-সাহস থাকলে আসুন, লন্ডন থেকে হুংকার ছাড়ুন, দেশে আসুন। সৎ সাহস থাকলে এখানে এসে রাজনীতি করুন। আপনি তো কাপুরুষ। রাজনীতি আর করব না মুচলেখা দিয়ে জরুরি সরকারের কাছে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। ২০০৭ থেকে ১৫-১৬ বছর। তিনি আর ফিরে আসেন না। বাংলাদেশে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে না। আর বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লন্ডনে বসে হুঙ্কার দিচ্ছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আলো থেকে অন্ধকারে আর ফিরে যাব না বাংলাদেশ। যারা এ দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, তাদের মন্ত্রিত্ব দিয়েছে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, যারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানকে সৃষ্টি করেছে, যারা বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের সেই হাওয়া ভবনের অন্ধকারে আর ফিরে যাবে না বাংলাদেশে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহারানি ভিক্টোরিয়ার মতো ক্ষমতায় বসবেন! সেই দিন চলে গেছে। সেই দিন ফিরে কি আসবে আর কোনদিন? স্বপ্ন দেখা ভালো। কিন্তু দিনের বেলায় নয়। দিনের বেলা যে স্বপ্ন দেখে তাকে কী বলে? দিবাস্বপ্ন। ওই দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নাই।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খেলা তো হবে, রেডি আছেন? আসল খেলা আগামী জানুয়ারিতে, ফাইনাল খেলা আগামী নির্বাচন। খেলা হবে। নৌকা চলছে, চলবে নৌকা। নৌকা চলে ভাসিয়া, ভোট দিবেন আসিয়া। তৈয়ার হয়ে যান, অন্ধকারে আর ফিরে যাব না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম মান্নান কচি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের ৫টি আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।