ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিম্নচাপ হয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে ‘সিত্রাং’, উন্নতির দিকে পরিস্থিতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের স্থলভাগে এসে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃষ্টি থেমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দু-দিন পর দেখা মিলেছে রোদের।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকেই দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টি চলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত। রংপুর বিভাগ ছাড়া মোটামুটি সারাদেশেই ভারি বৃষ্টি হয়, কোথাও কোথাও হয় অতিভারি বৃষ্টি। এরমধ্যে সূর্যের দেখা মেলেনি।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। দিনগত রাতে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির মাত্রা। মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয় ঢাকায়।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতের পর ঢাকায় বৃষ্টি থেমে যায়।

তবে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। বেলা বাড়তে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে মেঘ। সকাল ৯টার দিকে মেঘের কোল থেকে দেখা গেছে সূর্যের হাসি। দু-দিন পরে রোদ উঠেছে ঢাকায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ‘সিত্রাং’ এবং পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে। এরপর এটি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল পেরিয়ে ভারতের দিকে চলে যায়। সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিম্নচাপ হয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে ‘সিত্রাং’, উন্নতির দিকে পরিস্থিতি

আপডেট সময় : ১০:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের স্থলভাগে এসে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃষ্টি থেমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দু-দিন পর দেখা মিলেছে রোদের।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকেই দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টি চলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত। রংপুর বিভাগ ছাড়া মোটামুটি সারাদেশেই ভারি বৃষ্টি হয়, কোথাও কোথাও হয় অতিভারি বৃষ্টি। এরমধ্যে সূর্যের দেখা মেলেনি।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। দিনগত রাতে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির মাত্রা। মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয় ঢাকায়।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতের পর ঢাকায় বৃষ্টি থেমে যায়।

তবে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। বেলা বাড়তে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে মেঘ। সকাল ৯টার দিকে মেঘের কোল থেকে দেখা গেছে সূর্যের হাসি। দু-দিন পরে রোদ উঠেছে ঢাকায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ‘সিত্রাং’ এবং পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে। এরপর এটি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল পেরিয়ে ভারতের দিকে চলে যায়। সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।