ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গত বছরের ১৪ নভেম্বর, দুবাইয়ের ঝলমলে রাতের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই সেই স্বপ্নভঙ্গের প্রতিশোধ নিলো কিউইরা। প্রতিশোধের ম্যাচে খেলতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দুমড়েমুচড়ে দিয়ে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিলো নিউজিল্যান্ড।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালেনের ব্যাটে ভর করে ২০০ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পর পুরোপুরি ব্যর্থ ব্যাটাররাও। ২০১ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭.১ ওভারেই মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে।

বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির করা প্রথম বলেই হাঁটু গেড়ে মারতে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। ‘ইউ মিস আই হিট’-স্ট্যাম্প উপড়ে যায় অজি ওপেনারের। ৬ বলে পাঁচ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার।

ওয়ার্নারের বিদায়ের পর মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে খেলছিলেন অজি অধিনায়ক। তবে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন ফিঞ্চও। স্যান্টনারের বলে এক অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান আরেক অধিনায়ক।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন কিছুটা ব্যাকফুটে, ঠিক তখনই নিজের দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন সাউদি। উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন মার্শ। দুর্দান্ত ক্যাচ তালুবন্দি করে গেল আসরের ফাইনালের নায়ককে সাজঘরে পাঠান জিমি নিশাম। পাওয়ারপ্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলতে পারে কেবল ৩৭ রান।

এরপর আর অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। হতাশ করেছেন টিম ডেভিডও। ক্যাঙ্গারু বাহিনীর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়েছিল। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি করতে পারলেন মাত্র ৮ বলে ১১ রান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং ডেভন কনওয়ে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন। প্রথম চার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান। সেখান থেকে পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৫ রান। ততক্ষণে যদিও ফিন অ্যালেনকে হারায় কিউইরা।

জস হ্যাজলউডকে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ফিন। তবে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারে মাত্র ১৬ বলে ৪২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।

ফিন অ্যালেনের আউটের পর মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন কনওয়ে। কিউই এ ওপেনার ৫৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৯২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ০৪:৪১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গত বছরের ১৪ নভেম্বর, দুবাইয়ের ঝলমলে রাতের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই সেই স্বপ্নভঙ্গের প্রতিশোধ নিলো কিউইরা। প্রতিশোধের ম্যাচে খেলতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দুমড়েমুচড়ে দিয়ে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিলো নিউজিল্যান্ড।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালেনের ব্যাটে ভর করে ২০০ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পর পুরোপুরি ব্যর্থ ব্যাটাররাও। ২০১ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭.১ ওভারেই মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে।

বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির করা প্রথম বলেই হাঁটু গেড়ে মারতে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। ‘ইউ মিস আই হিট’-স্ট্যাম্প উপড়ে যায় অজি ওপেনারের। ৬ বলে পাঁচ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার।

ওয়ার্নারের বিদায়ের পর মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে খেলছিলেন অজি অধিনায়ক। তবে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন ফিঞ্চও। স্যান্টনারের বলে এক অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান আরেক অধিনায়ক।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন কিছুটা ব্যাকফুটে, ঠিক তখনই নিজের দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন সাউদি। উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন মার্শ। দুর্দান্ত ক্যাচ তালুবন্দি করে গেল আসরের ফাইনালের নায়ককে সাজঘরে পাঠান জিমি নিশাম। পাওয়ারপ্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলতে পারে কেবল ৩৭ রান।

এরপর আর অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। হতাশ করেছেন টিম ডেভিডও। ক্যাঙ্গারু বাহিনীর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়েছিল। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি করতে পারলেন মাত্র ৮ বলে ১১ রান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং ডেভন কনওয়ে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন। প্রথম চার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান। সেখান থেকে পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৫ রান। ততক্ষণে যদিও ফিন অ্যালেনকে হারায় কিউইরা।

জস হ্যাজলউডকে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ফিন। তবে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারে মাত্র ১৬ বলে ৪২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।

ফিন অ্যালেনের আউটের পর মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন কনওয়ে। কিউই এ ওপেনার ৫৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৯২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।