ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ছয় শতাধিক মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

ভয়াবহ বন্যার কবলে নাইজেরিয়া

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে ভয়াবহ এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। এছাড়া আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ১৩ লাখ মানুষ এবং বিনষ্ট হয়ে গেছে দুই লাখের বেশি ঘর-বাড়ি। বন্যা ‘প্রবল’ দুর্যোগের রূপ নিয়েছে, সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি।

আজ সোমবার  বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেছেন, এ বন্যা ‘প্রবল’ দুর্যোগের রূপ নিয়েছে, সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি।

নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এ বন্যা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাইজেরিয়া মৌসুমি বন্যায় অভ্যস্ত হলেও এবার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির সরকার এ পরিস্থিতির জন্য অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। আর দুর্বল পরিকল্পনা ও অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গ্রীষ্মের প্রথম দিকে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি জমির বিশাল অংশ ডুবে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে আর রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নাইজেরিয়ার দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা- অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ দুর্গতদের খাদ্য ও অন্যান্য সমর্থন, সহযোগিতা দিচ্ছে বলে মন্ত্রী সাদিয়া জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ‘সমন্বিত উদ্যোগ’ ও আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য সরকার বন্যার জন্য ‘প্রস্তুতি নেয়নি’।

এবারের বন্যায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রতি বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর লোকজন নিচু সমভূমি এলাকায় তাদের বাড়িগুলোতে ফিরে আসে, অনেকেরই যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটি সমস্যার একটি অংশ হয়ে আছে।

গত বছর থেকে নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে, সর্বকালের সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে বহু মানুষ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।

গত মাসে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে, অনাহারের বিপর্যয়মূলক উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ছয়টি দেশের মধ্যে নাইজেরিয়াও আছে।

নাইজেরিয়ার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, দক্ষিণের কিছু রাজ্যে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র : বিবিসি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ছয় শতাধিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে ভয়াবহ এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। এছাড়া আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ১৩ লাখ মানুষ এবং বিনষ্ট হয়ে গেছে দুই লাখের বেশি ঘর-বাড়ি। বন্যা ‘প্রবল’ দুর্যোগের রূপ নিয়েছে, সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি।

আজ সোমবার  বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেছেন, এ বন্যা ‘প্রবল’ দুর্যোগের রূপ নিয়েছে, সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি।

নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এ বন্যা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাইজেরিয়া মৌসুমি বন্যায় অভ্যস্ত হলেও এবার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির সরকার এ পরিস্থিতির জন্য অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। আর দুর্বল পরিকল্পনা ও অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গ্রীষ্মের প্রথম দিকে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি জমির বিশাল অংশ ডুবে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে আর রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নাইজেরিয়ার দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা- অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ দুর্গতদের খাদ্য ও অন্যান্য সমর্থন, সহযোগিতা দিচ্ছে বলে মন্ত্রী সাদিয়া জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ‘সমন্বিত উদ্যোগ’ ও আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য সরকার বন্যার জন্য ‘প্রস্তুতি নেয়নি’।

এবারের বন্যায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রতি বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর লোকজন নিচু সমভূমি এলাকায় তাদের বাড়িগুলোতে ফিরে আসে, অনেকেরই যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটি সমস্যার একটি অংশ হয়ে আছে।

গত বছর থেকে নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে, সর্বকালের সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে বহু মানুষ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।

গত মাসে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে, অনাহারের বিপর্যয়মূলক উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ছয়টি দেশের মধ্যে নাইজেরিয়াও আছে।

নাইজেরিয়ার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, দক্ষিণের কিছু রাজ্যে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র : বিবিসি।