মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কয়লা সংকটে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ৫ দিন ধরে বন্ধ কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর দেশের ৫ বিভাগসহ ১১ অঞ্চলে তাপদাহ ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন হাসিনা ও মোদি: দ্য ইকনোমিস্ট নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টানাপড়েন হলে আলোচনায় সমাধান: আইনমন্ত্রী সরকারের সুর নরম হয়েছে: ফখরুল ভাঙছে মেয়েদের সাফজয়ী দল আফগান সিরিজের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত, নেই রিয়াদ মাগুরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবী করা চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২ নারী মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার মা’র জানাজায় মির্জা আজম মহিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে আ.লীগের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন  গলাচিপায় প্রবীণ শিক্ষকের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক ঝিকরগাছায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

নয়াপল্টনে কোনো সমাবেশ হবে না: কামরুল ইসলাম

নয়াপল্টনে কোনো সমাবেশ হবে না: কামরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে কোনো সমাবেশ হবে না। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, সেটা হতে দেয়া হবে না।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। সেই সঙ্গে দেশের সব অর্জনকে নস্যাৎ করারও চেষ্টা করছে।  ১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের আস্ফালন করছে। ওইদিন পালাবার পথ পাবে না বিএনপি।

বিএনপি আস্ফালন করছে মন্তব্য করে কামরুল বলেন, ৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনাগুলো যদি আপানারা পালন করেন, আমি বিশ্বাস করি, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির যারা বাইরে থেকে আসবে তারা মাঠে থাকতে পারবে না।

অশুভ পথে ক্ষমতার পরিবর্তন চায় বিএনপি উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে কোনো অবস্থাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। কোনো অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না।

বিএনপি পালানোর পথ পাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ ৯ ডিসেম্বরের সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে তারা (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন তারা চায় না। তারা চায় অশুভ পন্থায় ক্ষমতার পরিবর্তন। আবার সেই ২০০৬ সালের মতো ৩ মাসের অনির্বাচিত সরকার ২ বছর যেভাবে প্রলম্বিত হয়েছিল। সে রকম ৩ বছরের সরকার চায়।

তারা চায় আবার জিয়া, এরশাদের মতো ক্ষমতার পরিবর্তন হোক। বাংলাদেশে জিয়া, এরশাদের মতো ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেখেছি, আমাদের প্রিয় নেত্রীকে মাইনাস করার চেষ্টা হয়েছে। সব নেতাদের জেলখানায় পুড়েছিল। বিএনপি নেতারাও তখন জেলখানায় ছিলেন। খালেদা জিয়া যে মামলা দণ্ডপ্রাপ্ত সেই মামলাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দেওয়া। ওই অবস্থা বিএনপি সৃষ্টি করতে চায়, বলেন কামরুল।

তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকার গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুমতি তারা নিতে চায় না। তারা জোর করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। স্পষ্ট কথা, নয়াপল্টনে কোনো সমাবেশ হবে না। হতে দেওয়া হবে না। নয়াপল্টনে তারা সমাবেশ করবে, তাদের ভাষায়; লাখ লাখ মানুষ বসিয়ে দেবে, অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করবে তা হতে দেওয়া হবে না।

বিএনপি মিথ্যা কথা বলে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা স্বীকার করি মানুষ খারাপ অবস্থায় আছে, মানুষের অবস্থা বেশি ভালো না। সাধারণ মানুষের অবস্থায় আমরাও মর্মাহত। আমাদের নেত্রী এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, এই অবস্থা থেকে শেখ হাসিনার পক্ষেই উত্তরণ সম্ভব, আর কারো পক্ষে সম্ভব না।

বিএনপি সমাবেশের নামে ঢাকায় যা করতে চায়, তার দাঁতভাঙা জবাব আমরা দেবো। তারা যাতে ঢাকামুখী হতে না পারে, ঢাকায় অবস্থান করতে না পারে সেই দাঁতভাঙা জবাব আমরা দেবো। জনরোষে তারা পালানোর পথ পাবে না, বলেন কামরুল।

বিএনপির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায়। যার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে অনুমতিও চেয়েছে দলটি।

তবে বিএনপিকে ২৬ শর্তে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত ২৯ নভেম্বর ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ডিএমপি জানায়, নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। তাই ওই স্থানের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *