ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি। রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেন ওই বেঞ্চ।

আজ (রোববার) রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। তবে বেঞ্চের বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ বিষয়টি শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেন।

বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। বিষয়টি সে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তিনি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। একপর্যায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ই মার্চ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ রিটে বিবাদী করা হয়। রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিট করার পর আইনজীবী এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে এবং পরে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে। রিট দায়ের করার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাইবাছাই ঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না।

কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন।

দুদক আইন ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাইবাছাই করা হয়নি।

এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ করা হয়নি। তার এ বক্তব্য সঠিক নয়।

এ ক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি।

এর আগে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৩শে এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০৩:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি। রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেন ওই বেঞ্চ।

আজ (রোববার) রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। তবে বেঞ্চের বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ বিষয়টি শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেন।

বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। বিষয়টি সে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তিনি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। একপর্যায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ই মার্চ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ রিটে বিবাদী করা হয়। রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিট করার পর আইনজীবী এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে এবং পরে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে। রিট দায়ের করার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাইবাছাই ঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না।

কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন।

দুদক আইন ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাইবাছাই করা হয়নি।

এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ করা হয়নি। তার এ বক্তব্য সঠিক নয়।

এ ক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি।

এর আগে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৩শে এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।