ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নওগাঁয় উদ্যোক্তা মেলায় ১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা : সময় বৃদ্ধির দাবী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁ প্রতিনিধি: মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন। একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হয়। যেখানে একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় এবং আদান প্রদান করেন। মেলায় নিজেদের তৈরি এবং উৎপাদিন পণ্য প্রদির্শিত হয়। যেখানে পণ্যের গুনগত মান যাচাই বাছাই এবং বেচাকেনা হয়। ঠিক এমনই নিজেদের তৈরি পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছিলেন বিসিক উদ্যোক্তা মেলায়। নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় সংলগ্ন মাইক্রোস্ট্যান্ড মাঠে রোববার (১৯ মার্চ) সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) উদ্যোক্তা মেলা শেষ হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সনদপত্র প্রদান করা হয়। গত ১৩ মার্চ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা বিসিক কার্যালয় এর আয়োজনে মেলাটি শুরু হয়েছিল।

মেলার স্টল সাজানো হয়েছিল ইংরেজি অংশ ‘ইউ’ অক্ষরের মতো। মুল গেটের বাম পাশে ছিল মাটির তৈরি মৃৎশিল্পের তৈজসপত্র, এরপর হস্ত ও বুটিকস, শো’পিছ, তারপর দুইটি খাদ্যজাত ও সরিষা’র তেলের স্টল এবং ডানপাশে ছিল মধু’র স্টল, কেক আইটেম, তারপর ইমিটেশন এবং হস্ত ও বুটিকসসহ ৩৪ টি স্টল। আর মাঝখানে ছিল আলোচনা মঞ্চ। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। মেলার পেছনে বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলা ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডস। আর মেলাকে কেন্দ্র করে এর বাহিরে আশপাশে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ও খেলার দোকানের পসরা বসানো হয়েছিল। মেলায় প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়।

মেলার মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্ত তৈরি হবে। উদ্যেক্তারা তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি বিক্রি করতে পারবেন। সেই সাথে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য জেলার বাহিরে সরবরাহ হবে। এমনকি পণ্যের গুনগত মান ভাল ও চাহিদা থাকলে দেশের বাহিরেও রপ্তানি হবে।

উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টরা জানান, সপ্তাহব্যাপী মেলায় উদ্যোক্তা মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ক্রেতারা আগ্রহ সহকারে পণ্য কিনিছে। মেলায় প্রায় ১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়েছে। আগামীতে যদি এমন মেলা হয় অন্তত ১৫ দিন সময় হলে ভাল হয়। এছাড়া যেহেতু উদ্যেক্তাদের নিজেস্ব কোন দোকান সেভাবে থাকে না বা পণ্য প্রদর্শনের তেমন কোন ব্যবস্থা তাদের থাকে না। সেক্ষেত্রে বছরে কয়েক উদ্যোক্তা মেলা হলে তাদের জন্য সুবিধা হয়।

শহরের মাষ্টারপাড়া মহল্লার এফএনএফ ফুড এর উদ্যোক্তার হোমাইরা বলেন, লেখাপড়া ও সংসারের পাশাপাশি গত দুই বছর থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। পরিবার বা স্বামীর কাছ থেকে যেনো হাত পেতে কিছু নিতে নিতে না হয়; সেজন্য খাদ্যজাত নিয়ে কাজ করছি। মূলতঃ নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য উদ্যোক্তা হওয়া। মেলায় বিভিন্ন পিঠা-পুলি, বার্গার ও পিৎজার সাথে হরেক রকম কেক আইটেম থাকে। তবে কেক আইটেম সারা বছরই অফলাইন ও অনলাইনে সেল করা হয়। যা থেকে মাসে ভাল একটা আয় আসে। সপ্তাহ ব্যাপী এই মেলায় প্রায় ৫৫ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছে।

বাঁঙ্গবাড়ীয়া মহল্লার স্নেহা বুটিশ হাউজ এর স্বত্ত্বাধিকারী শামীমা খানম বলেন, পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন মেলায় অংশ নেই। নিজস্ব দোকান নাই। বাড়ি থেকে বিক্রি করা হয়। সবকিছু নিজেই ডিজাইন করা হয়। বাজার থেকে গজ কাপড় কিনে তার ওপর নকশা করা হয়। কারিগররা শুধু সুতা দিয়ে সেলাই করে। এতে প্রায় ৫০-৮০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। বড়দের শাড়ি ও থ্রি পিস, বাচ্চাদের পোশাক, চাবির রিং, নকশিকাঁথা, টেবিল ও ফ্লোর ম্যাটসহ কয়েক ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে দোকান করার ইচ্ছা রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৮ হাজারের মতো অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান করতেও সচেষ্ট রয়েছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ১৫ হাজার পিস টেবিল ও ফ্লোর ম্যাট রপ্তানি হয়েছে। আরেকটি দেশে নতুন করে অর্ডার নেয়ার চেষ্টা চলছে। যদি অর্ডার পাওয়া যায় আমি উপকৃত হবো পাশাপাশি আমার যারা কারিগর আছে তারাও উপকৃত হবে। তাদের কাজের চাহিদা বাড়বে ও আয় হবে। তবে ভাল কিছু হবে বলে আশাবাদী।

জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর থেকে মেলায় অংশ নেয়া কারু শিল্পের উদ্যোক্তা তহুরা বানু বলেন, জামদানি ও মনিপুরি শাড়ি, তাঁত পণ্যসহ বুটিকশের জিনিসপত্র রয়েছে। মেলায় অংশ নিয়েছি ক্রেতারা যেন পণ্যগুলো সরাসরি দেখতে ও কিনতে পারেন। ভাল বিক্রি হয়েছে। পন্য এখন দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের চেয়ে ১৫দিন মেলা হলে ভাল হতো। আমাদের পণ্যে প্রচারের জন্য যদি নির্দিষ্ট ডিসপ্লে সেন্টার থাকতে তাহলে ভাল হতো। আশা করছি জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখবেন।

নওগাঁ বিসিক শিল্প নগরী উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আক্তার বলেন, বিসিকের যতগুলো কার্যক্রম রয়েছে তারমধ্যে মেলা একটি। যাদের নিজেস্ব কোন কারখানা এবং ডিসপ্লে সেন্টার নেই তাদের পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়। যেখানে উদ্যোক্তাদের বিপণনের একটা মাধ্যমসহ ক্রেতাদের সাথে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়। উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের গুণাবলী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়া মেলার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, মেলার মাধ্যমে দুইটি বার্তা (ম্যাসেজ) হচ্ছে- উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের গুণাবলী যাচাই করতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত যারা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে একটা ধারণা নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন। আর মেলায় যেসব পণ্য বিক্রি হয় সেটাও জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

নওগাঁয় উদ্যোক্তা মেলায় ১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা : সময় বৃদ্ধির দাবী

আপডেট সময় : ০৬:২১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

নওগাঁ প্রতিনিধি: মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন। একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হয়। যেখানে একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় এবং আদান প্রদান করেন। মেলায় নিজেদের তৈরি এবং উৎপাদিন পণ্য প্রদির্শিত হয়। যেখানে পণ্যের গুনগত মান যাচাই বাছাই এবং বেচাকেনা হয়। ঠিক এমনই নিজেদের তৈরি পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছিলেন বিসিক উদ্যোক্তা মেলায়। নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় সংলগ্ন মাইক্রোস্ট্যান্ড মাঠে রোববার (১৯ মার্চ) সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) উদ্যোক্তা মেলা শেষ হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সনদপত্র প্রদান করা হয়। গত ১৩ মার্চ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা বিসিক কার্যালয় এর আয়োজনে মেলাটি শুরু হয়েছিল।

মেলার স্টল সাজানো হয়েছিল ইংরেজি অংশ ‘ইউ’ অক্ষরের মতো। মুল গেটের বাম পাশে ছিল মাটির তৈরি মৃৎশিল্পের তৈজসপত্র, এরপর হস্ত ও বুটিকস, শো’পিছ, তারপর দুইটি খাদ্যজাত ও সরিষা’র তেলের স্টল এবং ডানপাশে ছিল মধু’র স্টল, কেক আইটেম, তারপর ইমিটেশন এবং হস্ত ও বুটিকসসহ ৩৪ টি স্টল। আর মাঝখানে ছিল আলোচনা মঞ্চ। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। মেলার পেছনে বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলা ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডস। আর মেলাকে কেন্দ্র করে এর বাহিরে আশপাশে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ও খেলার দোকানের পসরা বসানো হয়েছিল। মেলায় প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়।

মেলার মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্ত তৈরি হবে। উদ্যেক্তারা তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি বিক্রি করতে পারবেন। সেই সাথে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য জেলার বাহিরে সরবরাহ হবে। এমনকি পণ্যের গুনগত মান ভাল ও চাহিদা থাকলে দেশের বাহিরেও রপ্তানি হবে।

উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টরা জানান, সপ্তাহব্যাপী মেলায় উদ্যোক্তা মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ক্রেতারা আগ্রহ সহকারে পণ্য কিনিছে। মেলায় প্রায় ১৬ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়েছে। আগামীতে যদি এমন মেলা হয় অন্তত ১৫ দিন সময় হলে ভাল হয়। এছাড়া যেহেতু উদ্যেক্তাদের নিজেস্ব কোন দোকান সেভাবে থাকে না বা পণ্য প্রদর্শনের তেমন কোন ব্যবস্থা তাদের থাকে না। সেক্ষেত্রে বছরে কয়েক উদ্যোক্তা মেলা হলে তাদের জন্য সুবিধা হয়।

শহরের মাষ্টারপাড়া মহল্লার এফএনএফ ফুড এর উদ্যোক্তার হোমাইরা বলেন, লেখাপড়া ও সংসারের পাশাপাশি গত দুই বছর থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। পরিবার বা স্বামীর কাছ থেকে যেনো হাত পেতে কিছু নিতে নিতে না হয়; সেজন্য খাদ্যজাত নিয়ে কাজ করছি। মূলতঃ নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য উদ্যোক্তা হওয়া। মেলায় বিভিন্ন পিঠা-পুলি, বার্গার ও পিৎজার সাথে হরেক রকম কেক আইটেম থাকে। তবে কেক আইটেম সারা বছরই অফলাইন ও অনলাইনে সেল করা হয়। যা থেকে মাসে ভাল একটা আয় আসে। সপ্তাহ ব্যাপী এই মেলায় প্রায় ৫৫ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছে।

বাঁঙ্গবাড়ীয়া মহল্লার স্নেহা বুটিশ হাউজ এর স্বত্ত্বাধিকারী শামীমা খানম বলেন, পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন মেলায় অংশ নেই। নিজস্ব দোকান নাই। বাড়ি থেকে বিক্রি করা হয়। সবকিছু নিজেই ডিজাইন করা হয়। বাজার থেকে গজ কাপড় কিনে তার ওপর নকশা করা হয়। কারিগররা শুধু সুতা দিয়ে সেলাই করে। এতে প্রায় ৫০-৮০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। বড়দের শাড়ি ও থ্রি পিস, বাচ্চাদের পোশাক, চাবির রিং, নকশিকাঁথা, টেবিল ও ফ্লোর ম্যাটসহ কয়েক ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে দোকান করার ইচ্ছা রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৮ হাজারের মতো অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান করতেও সচেষ্ট রয়েছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ১৫ হাজার পিস টেবিল ও ফ্লোর ম্যাট রপ্তানি হয়েছে। আরেকটি দেশে নতুন করে অর্ডার নেয়ার চেষ্টা চলছে। যদি অর্ডার পাওয়া যায় আমি উপকৃত হবো পাশাপাশি আমার যারা কারিগর আছে তারাও উপকৃত হবে। তাদের কাজের চাহিদা বাড়বে ও আয় হবে। তবে ভাল কিছু হবে বলে আশাবাদী।

জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর থেকে মেলায় অংশ নেয়া কারু শিল্পের উদ্যোক্তা তহুরা বানু বলেন, জামদানি ও মনিপুরি শাড়ি, তাঁত পণ্যসহ বুটিকশের জিনিসপত্র রয়েছে। মেলায় অংশ নিয়েছি ক্রেতারা যেন পণ্যগুলো সরাসরি দেখতে ও কিনতে পারেন। ভাল বিক্রি হয়েছে। পন্য এখন দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের চেয়ে ১৫দিন মেলা হলে ভাল হতো। আমাদের পণ্যে প্রচারের জন্য যদি নির্দিষ্ট ডিসপ্লে সেন্টার থাকতে তাহলে ভাল হতো। আশা করছি জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখবেন।

নওগাঁ বিসিক শিল্প নগরী উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আক্তার বলেন, বিসিকের যতগুলো কার্যক্রম রয়েছে তারমধ্যে মেলা একটি। যাদের নিজেস্ব কোন কারখানা এবং ডিসপ্লে সেন্টার নেই তাদের পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়। যেখানে উদ্যোক্তাদের বিপণনের একটা মাধ্যমসহ ক্রেতাদের সাথে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়। উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের গুণাবলী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়া মেলার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, মেলার মাধ্যমে দুইটি বার্তা (ম্যাসেজ) হচ্ছে- উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের গুণাবলী যাচাই করতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত যারা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে একটা ধারণা নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন। আর মেলায় যেসব পণ্য বিক্রি হয় সেটাও জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

বা/খ: এসআর।