ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেখে মনে হলো এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে : আমীর খসরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশ ‘সরকারি সুবিধায়’। রাস্তা-ঘাটের অবস্থা দেখে মনে হলো, বাংলাদেশ একটা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছে। মনে হলো, এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে এখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যুবলীগের সম্মেলন আছে। আমি আসার পথে দেখলাম অনেক কিছু। আজকে বাংলাদেশে জনসাধারণের জন্য কোনো বাস আছে বলে আমার মনে হলো না, সব পরিবহন আজ ওদের দখলে, ওদের নিয়ন্ত্রণে। সব রাস্তা-ঘাট বন্ধ। এভাবে সব আয়োজন করা হয়েছে। বুঝতে পারেন, একটা দলের সম্মেলন করতে তাদেরকে এত কিছু জোগাড় করতে হচ্ছে, সরকারি এত কিছুর সুযোগ-সুবিধা নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাস্তা-ঘাটের অবস্থা দেখে মনে হলো বাংলাদেশ একটা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছে। মনে হলো, এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা যে দলের অনুষ্ঠান কেউ বুঝতে পারবে না, যদি তাদেরকে বলা না হয়। কোনো বিদেশি মানুষ যদি এখানে অবস্থান করে, ওরা মনে করবে বোধ হয় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা কোনো দলের অনুষ্ঠান এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।

রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা-বিআরটিসির বাস ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং মনে হলো বিআরটিসির বাসের মধ্যে ব্যানার লাগিয়ে ওরা সম্মেলনে আসছে। লজ্জা-শরম তো থাকার কথা। না হয়, আইন মানলেন না, সংবিধান মানলেন না, গণতন্ত্র মানলেন না, জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিলেন, তার পরেও তো একটা লজ্জা-শরমের ব্যাপার আছে।

খসরু বলেন, বিআরটিসির বাসে তো কোনো দলের ব্যানার লাগিয়ে যাওয়ার কথা নয়। এটি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। সেটা তো পয়সা দিয়ে ভাড়া করা যায় না। তাহলে কিভাবে ওরা করছে। এটাই ক্ষমতার দাপট, অপব্যবহারৃ।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দুই-তিন দিন আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, আর বিএনপির বেলায় সব বন্ধ। কোনো পরিবহন থাকতে পারবে না- বাস থাকতে পারবে না, স্টিমার থাকতে পারবে না, লঞ্চ চলতে পারবে না, স্পিডবোট চলতে পারবে না। শুধু তাই নয়, রিকশা চলতে পারবে না, নসিমন চলতে পারবে না, টেম্পো থাকতে পারবে না। কিছুই থাকতে পারবে না। এতে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। এই আন্দোলনে একটা জিনিস আমরা শেখেছি যে পরিবহন ছাড়াও আন্দোলন করা যায়। আন্দোলন এমন মাত্রা পেয়েছে যে মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কোনো পরিবহন ছাড়া সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হয়েছে। উপস্থিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি তাদের যে অবিরাম ভালোবাসা তা প্রমাণ করেছে। এটা আন্দোলন নয়, এটা বিপ্লবে পরিণত হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনাসভা হয়। তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নাল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি, পিরোজপুরের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উলামাদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেখে মনে হলো এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে : আমীর খসরু

আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশ ‘সরকারি সুবিধায়’। রাস্তা-ঘাটের অবস্থা দেখে মনে হলো, বাংলাদেশ একটা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছে। মনে হলো, এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে এখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যুবলীগের সম্মেলন আছে। আমি আসার পথে দেখলাম অনেক কিছু। আজকে বাংলাদেশে জনসাধারণের জন্য কোনো বাস আছে বলে আমার মনে হলো না, সব পরিবহন আজ ওদের দখলে, ওদের নিয়ন্ত্রণে। সব রাস্তা-ঘাট বন্ধ। এভাবে সব আয়োজন করা হয়েছে। বুঝতে পারেন, একটা দলের সম্মেলন করতে তাদেরকে এত কিছু জোগাড় করতে হচ্ছে, সরকারি এত কিছুর সুযোগ-সুবিধা নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাস্তা-ঘাটের অবস্থা দেখে মনে হলো বাংলাদেশ একটা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছে। মনে হলো, এখানে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা যে দলের অনুষ্ঠান কেউ বুঝতে পারবে না, যদি তাদেরকে বলা না হয়। কোনো বিদেশি মানুষ যদি এখানে অবস্থান করে, ওরা মনে করবে বোধ হয় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা কোনো দলের অনুষ্ঠান এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।

রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা-বিআরটিসির বাস ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং মনে হলো বিআরটিসির বাসের মধ্যে ব্যানার লাগিয়ে ওরা সম্মেলনে আসছে। লজ্জা-শরম তো থাকার কথা। না হয়, আইন মানলেন না, সংবিধান মানলেন না, গণতন্ত্র মানলেন না, জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিলেন, তার পরেও তো একটা লজ্জা-শরমের ব্যাপার আছে।

খসরু বলেন, বিআরটিসির বাসে তো কোনো দলের ব্যানার লাগিয়ে যাওয়ার কথা নয়। এটি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। সেটা তো পয়সা দিয়ে ভাড়া করা যায় না। তাহলে কিভাবে ওরা করছে। এটাই ক্ষমতার দাপট, অপব্যবহারৃ।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দুই-তিন দিন আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, আর বিএনপির বেলায় সব বন্ধ। কোনো পরিবহন থাকতে পারবে না- বাস থাকতে পারবে না, স্টিমার থাকতে পারবে না, লঞ্চ চলতে পারবে না, স্পিডবোট চলতে পারবে না। শুধু তাই নয়, রিকশা চলতে পারবে না, নসিমন চলতে পারবে না, টেম্পো থাকতে পারবে না। কিছুই থাকতে পারবে না। এতে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। এই আন্দোলনে একটা জিনিস আমরা শেখেছি যে পরিবহন ছাড়াও আন্দোলন করা যায়। আন্দোলন এমন মাত্রা পেয়েছে যে মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কোনো পরিবহন ছাড়া সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হয়েছে। উপস্থিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি তাদের যে অবিরাম ভালোবাসা তা প্রমাণ করেছে। এটা আন্দোলন নয়, এটা বিপ্লবে পরিণত হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনাসভা হয়। তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নাল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি, পিরোজপুরের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উলামাদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।