ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা নবম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান আজ নবম। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৬৯। একই সময়ে এ তালিকায় দূষণে শীর্ষে আছে ভারতের মুম্বাই (১৮৫)।

একিউআই স্কোরে দূষিত বায়ুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীনের উহার (১৮৪)। ১৭৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চীনেরই আরেক শহর চেংডু। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক (১৭৭) ও কাজাখস্তানের আস্তানা (১৭৬)।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। গত মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ অর্থাৎ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুহার বাড়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে বিগত আড়াই মাসে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৯ জন। এর মধ্যে ৯৬ জনই মারা গেছেন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে।

সম্প্রতি সংস্থাটির গবেষকরা এক সভায় জানান, ধুলাবালি হচ্ছে ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস। এসব ধূলিকণা মুখে গেলে মানুষ যেখানে-সেখানে থুতু ও কফ ফেলে। আর এই থুতু ও কফ ধুলার সঙ্গে মিশে বিভিন্নভাবে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া বায়ুদূষণের আরও উৎস হচ্ছে- ইটভাটা, শিল্পকারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া এবং সড়ক ও ভবন নির্মাণসামগ্রী থেকে সৃষ্ট ধুলা।

জানা যায়, ঢাকা শহরে পরিবেশ দূষণের মূল কারণ নিয়ম না মেনে চলা নির্মাণাধীন ভবন ও উন্নয়নমূলক কাজ। রাস্তাঘাট নির্মাণ, বড় বড় প্রকল্প কিংবা ভবন নির্মাণসহ নির্মাণাধীন সব ভবনেই ধুলাবালি বাতাসের সঙ্গে যেন না মিশে যায় সেজন্য যথাযথ অস্থায়ী ছাউনি বা বেষ্টনী দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে। তবে এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছে না কেউ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা নবম

আপডেট সময় : ১২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান আজ নবম। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৬৯। একই সময়ে এ তালিকায় দূষণে শীর্ষে আছে ভারতের মুম্বাই (১৮৫)।

একিউআই স্কোরে দূষিত বায়ুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীনের উহার (১৮৪)। ১৭৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চীনেরই আরেক শহর চেংডু। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক (১৭৭) ও কাজাখস্তানের আস্তানা (১৭৬)।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। গত মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ অর্থাৎ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুহার বাড়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে বিগত আড়াই মাসে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৯ জন। এর মধ্যে ৯৬ জনই মারা গেছেন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে।

সম্প্রতি সংস্থাটির গবেষকরা এক সভায় জানান, ধুলাবালি হচ্ছে ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস। এসব ধূলিকণা মুখে গেলে মানুষ যেখানে-সেখানে থুতু ও কফ ফেলে। আর এই থুতু ও কফ ধুলার সঙ্গে মিশে বিভিন্নভাবে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া বায়ুদূষণের আরও উৎস হচ্ছে- ইটভাটা, শিল্পকারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া এবং সড়ক ও ভবন নির্মাণসামগ্রী থেকে সৃষ্ট ধুলা।

জানা যায়, ঢাকা শহরে পরিবেশ দূষণের মূল কারণ নিয়ম না মেনে চলা নির্মাণাধীন ভবন ও উন্নয়নমূলক কাজ। রাস্তাঘাট নির্মাণ, বড় বড় প্রকল্প কিংবা ভবন নির্মাণসহ নির্মাণাধীন সব ভবনেই ধুলাবালি বাতাসের সঙ্গে যেন না মিশে যায় সেজন্য যথাযথ অস্থায়ী ছাউনি বা বেষ্টনী দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে। তবে এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছে না কেউ।