ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত শিক্ষক হামলা চালিয়েছে স্কুলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের এসবি রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এতে ওই শিক্ষক ক্ষুদ্ধ হয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়া কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ও ফ্যান ভাঙচুরসহ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলা ও শিক্ষকদের সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক একরাম হোসেনের সঙ্গে মারমুখী আচরণ ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ গত ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বরখাস্তের চিঠি পাওয়ার পরই শিক্ষক আরিফুল ইসলাম স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে বহিরাগত কিছু উশৃঙ্খল ছেলে ও তার কাছে টিউশনি পড়ুয়া কিছু ছাত্র-ছাত্রীসহ লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষক আরিফুলের নির্দেশে স্কুলের চেয়ার-টেবিল, স্কুলের গেট ও দরজাসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও ছয় হাজার টাকা মূল্যের দুটি সিলিং ফ্যান চুরি করে নিয়ে যান তারা।

এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের পরামর্শে স্কুলের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ফ্যান চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত শিক্ষক হামলা চালিয়েছে স্কুলে

আপডেট সময় : ১২:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের এসবি রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এতে ওই শিক্ষক ক্ষুদ্ধ হয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়া কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ও ফ্যান ভাঙচুরসহ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলা ও শিক্ষকদের সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক একরাম হোসেনের সঙ্গে মারমুখী আচরণ ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ গত ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বরখাস্তের চিঠি পাওয়ার পরই শিক্ষক আরিফুল ইসলাম স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে বহিরাগত কিছু উশৃঙ্খল ছেলে ও তার কাছে টিউশনি পড়ুয়া কিছু ছাত্র-ছাত্রীসহ লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষক আরিফুলের নির্দেশে স্কুলের চেয়ার-টেবিল, স্কুলের গেট ও দরজাসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও ছয় হাজার টাকা মূল্যের দুটি সিলিং ফ্যান চুরি করে নিয়ে যান তারা।

এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের পরামর্শে স্কুলের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ফ্যান চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।