নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় মানদৌস কেটে যাওয়ায় শান্ত হচ্ছে সাগর। এজন্য সব সমুদ্রবন্দর থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে সতর্কতা সংকেত। আর দুপুরের পর মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো গভীর সাগরে যেতে পারবে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মানদৌস উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরও দুর্বল হয়ে সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ দুপুর পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরের পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়।
এ অবস্থায় রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়বে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার। আগামী তিন দিনে দেশের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।