দিনাজপুরে তাপদাহে পুড়ছে লিচুর মুকুল : আতঙ্কিত স্বপ্ননীল কৃষক
- আপডেট সময় : ১১:০৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ৫২১ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে তাপমাত্রা সহনীয় থাকলেও গেল কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে লিচুর মুকুল। উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিসাধন হয়েছে বেদনা, চায়না থ্রিসহ উন্নত মানের লিচুর মুকুল। চাষীরা বলছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চায়না ও বেদানার লিচুর মুকুল রোদের তাপে পুড়ে গেছে । স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ মত ব্যবস্থা নিলেও মিলছে না প্রতিকার।
জেলার বিরল উপজেলার মাধববাটী গ্রামের পূর্ব সাহাপাড়া মহল্লার সৈয়দ আলী বলেন, কয়েকদিন আগেই মুকুলের সমারোহে ভরপুর ছিল গাছগুলো। কিন্তু কয়েক দিনের টানা তাপ প্রবাহে এরই মধ্যে পুড়ে গেছে অনেক লিচুর মুকুল। বিশেষ করে উন্নত জাতের বেদনা ও চায়না -৩ জাতের লিচুর মুকল। বোম্বাই জাতের লিচু কিছু কিছু রক্ষা পেলেও সামনের দিনগুলো যদি তাপদাহ এর চেয়ে বেশি পায় তাহলে গেল বারের মতো এবারও লিচু চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।
সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার লিচু ব্যবসায়ী আফসার মোল্লা বলেন, নিজের দুইটি বাগানে ৭২ টি গাছ রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩২ লাখ টাকা দিয়ে আরো বেশ কয়েকটি বাগান কিনে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মাদ্রাজি বোম্বাই চায়না থ্রি কাঠালি জাতের। বেদনা ও মাদ্রাজি মুকুলগুলো এরই মধ্যে পুড়ে গেছে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ উন্নত জাতের লিচু যেমন বেদনা কাটালি চায়না থ্রি জাতের লিচুর মৌলগুলো প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ে গেছে। ভরসা এখন বোম্বাই জাতের লিচু নিয়ে।
বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মস্তফা হাসান ইমাম বলেন, শুধু লিচু নয় আমের মুকুল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে মুকুলগুলো যখন কচি কচি ছিল তখন আবার বিরূপ পরিস্থিতির কারণে এগুলো পুড়ে গেছে। আমরা এবং আমাদের মাঠকর্মীরা বিষয়গুলো মাঠে সরি জমি দেখছেন এবং সেই মতে পরামর্শ দিচ্ছেন। বিকেলের দিকে গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে ও পাতায় পানি স্প্রে করতে হবে। প্রয়োজনে কিছু অনুখাদ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদ বলেন, সারাদেশের মতো দিনাজপুরও চলছে মাঝারি তাপ প্রবাহ। এমন অবস্থা আরো কয়েকদিন বিরাজমান থাকবে। তবে এ মাসে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ার পূর্বাভাস দেন তিনি।
দিনাজপুর জেলায় প্রতিবছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। মৌয়ালরা মধু আহরণ করে প্রায় ১১৫ মেট্রিক টন থেকে ১২০ মেট্রিক টন।