মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেলকুচির সাবেক এমপিএ ড. আবু হেনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন  সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই: হানিফ রাবিতে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন চার লক্ষাধিক  সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কায় শ্রীলঙ্কা যুবলীগ নেতা গোলাপের মৃত্যুতে এমপি এনামুল হকের শোক প্রকাশ  আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেয়া না হয়: মৌসুমী ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলনে মায়ের উপর নির্যাতনের বিচার চাইলেন ছেলে  বিএনপি নেতারা অসংলগ্ন প্রলাপ করছেন : ওবায়দুল কাদের নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ৭ বছরের জেল মেক্সিকোতে অভিবাসন কেন্দ্রে আগুন, নিহত ৩৭ রাজারহাটে ৪মাস পর বেতন ভাতা পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা এক পরিবারে তিনের বেশি ব্যাংক পরিচালক নয় আমতলীর দলিলের বালাম ১৯০১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজো বরগুনা জেলায় পৌঁছেনি মীরসরাইয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার তাড়াশে আড়াই কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক

দশম দিনেই জমজমাট বইমেলা

দশম দিনেই জমজমাট বইমেলা

মিলন মাহামুদ : 

দেখতে দেখতে দশম দিন পার করলো বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। মেলার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দুই অংশই মুখর হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের পদচারণায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন জমে উঠেছে বইমেলা। ছুটির দিন হওয়ায় স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে প্রাণের বইমেলা প্রাঙ্গণে আসছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস।

এবারের বইমেলায় প্রতিদিন নতুন নতুন বইয়ের পাশাপাশি আসছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বিষয়ের ওপর লেখা বই। হাজার বইয়ের রঙিন প্রচ্ছদে বাহারি ফুলের মতো ফুটে উঠেছে এবারের বইমেলা। অনেক ফুলের ভিড়ে সবারই থাকে প্রিয় ফুল। তেমনি বইমেলায় রয়েছে বিশেষ কিছু বইয়ের জনপ্রিয়তা।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তাই সকাল থেকে শুরু হয়েছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখে বই কিনছেন তারা। কেউ বই কিনছেন, কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন আবার কেউবা প্রিয় লেখকের বই কবে আসবে খোঁজ নিচ্ছেন। বরাবরের মতো অনন্যা, কাকলী, তাম্রলিপি, প্রথমা, পাঞ্জেরি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নগুলো ছিল ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণ। শিশু-কিশোরদের ভিড় দেখা গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ গেটে। শিশু চত্বরে প্রবেশ করলেই মনে হবে এ যেন কোনো শিশুরাজ্য।

দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই জনারণ্যে পরিণত হয় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বইমেলার প্রবেশ মুখেও দেখা গেছে লম্বা লাইন।

book

সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলা একাডেমির সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রবেশপথগুলোতে রয়েছে মানুষের সারি। ভেতরে প্রবেশের সময় প্রথমেই চোখে পড়বে মেলার সুন্দর সাজানো স্টল ও প্যাভিলিয়নের। সেইসঙ্গে সৌন্দর্য ম্লান করে দেবে মেলা প্রাঙ্গণের ধুলোবালি। চারদিকে উড়তে থাকা ধুলোবালি যে কারও বিরক্তির কারণ হবে। সৌন্দর্যবর্ধনের জায়গায় থাকা ময়লার স্তূপ দেখেই নেতিবাচক ধারণা আসবে মেলার আয়োজকদের নিয়ে।

সমতট প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী জানান, এবারের বইমেলায় শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। শুরুর দিকেই বই কিনছেন পাঠকরা। এটা ইতিবাচক মনে হচ্ছে।

হাওলাদার প্রকাশনীর প্রকাশক মোহাম্মদ মাকসুদ জানান, এবারের বইমেলায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বইয়ের প্রতি মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ছে। আজ ছুটির দিন না হলেও অনেক মানুষ বইমেলায় এসেছে। এবার বই বিক্রি অন্যবারের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।

মেলায় আগত শেখ আরমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, মেলায় আজ অনেক মানুষ দেখেছি। তবে, মেলায় ঢুকতেই ধুলোবালি, ময়লার স্তূপ, বৈদ্যুতিক তার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, দেখে খারাপ লাগছে। মেলা শুরুর আগেই এসব শেষ করা উচিত। প্রতিবারই দেখা যায় মেলা শুরুর প্রথম সপ্তাহজুড়ে কাজই চলতে থাকে। মেলার ভেতরে যে পরিমাণ ধুলোবালি উড়ছে তাতে ঠান্ডা-কাশি হয়ে যাবে।

মেলার অব্যবস্থাপনায় কঠোর হচ্ছে বাংলা একাডেমিমেলা প্রাঙ্গণে ধুলোবালি, ময়লার স্তূপ, অগোছালো স্টল-প্যাভিলিয়ন, অব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম। দু-একদিনের মধ্যে মেলার পরিবেশ ফিরে আসবে। মেলার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মেলায় আর কোনো অব্যবস্থাপনা থাকবে না জানিয়ে বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব বলেন, মেলায় কোনো অব্যবস্থাপনা হলে এর দায় বাংলা একাডেমির ওপরই আসে। যার জন্য বাংলা একাডেমি মেলার সৌন্দর্য বাড়াতে ও পরিবেশ সুন্দর রাখতে যা যা করার তাই করবে।

প্রতিবছর বইমেলায় শিশুদের প্রধান আকর্ষণ শিশুপ্রহর। এবার মেলার এ অংশের নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর। সেই অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণের শিশু চত্বর নান্দনিক করে সাজানো হয়। শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে শিশুদের বই রাখা আছে। সেখানে শিশু প্রকাশ, চলন্তিকা বইঘর, শৈশব, সিসিমপুর, চিলড্রেনস বুক ইত্যাদি স্টল রয়েছে। স্টলগুলোতে রয়েছে শিশুদের বই।

book-fair

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ছোটদের মজার মজার সব বইয়ের স্টল এবং বিনোদন কেন্দ্র নিয়ে সাজানো হয়েছে শিশু চত্বর। যেখানে শিশু-কিশোরদের রাজত্ব। এখানে রয়েছে শিশু-কিশোরদের সায়েন্স ফিকশন, ভূতের গল্প, কৌতুক এবং ছড়াসহ নানা ধরণের সব বই।

সিসিমপুরের চরিত্রগুলো শিশুদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয়। এবার শিশুদের আনন্দ দিতে স্টেজে হালুম, ইকরি ও টুকটুকি নেই। বই দেখেই আনন্দ নিচ্ছে শিশুরা।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে অভিভাবকদের হাত ধরে শুক্রবার সকাল থেকেই মেলায় আসছে শিশুরা। বইয়ের রাজ্যে এসে তারা মহাখুশি।

এ নিয়ে আফিফা ফাইরুজ বলেন, মেলায় এসে অনেক বই দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। আমর নানু বাড়িতেও এতো বই নেই। এখানে অনেক বই। সবগুলো আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি। আর রাজকুমারী আর ভূতের গল্পের বই কিনেছি।

শিশু প্রহরে কথা হয় বই কিনতে আসা দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশার সঙ্গে। গল্পের ছবিওয়ালা বই তার ভীষণ পছন্দ। আর চার বছর বয়সী শিশু জিনাত রায়হান জানায়, তার কার্টুন দেখতে ভালো লাগে। তাই সে কয়েকটি কার্টুনের বই কিনেছে।

শিশু চত্বরে দেখা মেলে নালন্দা স্কুলের একঝাঁক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাদেরকে মেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক ভালো লাগছে। অনেকগুলো পছন্দের বইয়ের তালিকা নিয়ে এসেছি। মেলা ঘুরে দেখব এবং এগুলো কিনব।

নবম দিনে মেলায় ১২৩ নতুন বই, কবিতার ৪৮

শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা বাবুইয়ের প্রকাশক কাদের বাবু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শিশু চত্বরের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। তবে ছুটির দিনে শিশুরা আসছে, বই দেখছে। এবার সুন্দর মেলা হবে।

শিশু চত্বর ছাড়াও ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই পাঠক দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল বেশ। অনেকে সকাল থেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। প্রকাশকদের প্রত্যাশা মেলা জমে উঠবে।

এ বিষয়ে অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বইমেলার নানা পরিবর্তন দেখেছি। এর ধারাবাহিকতা এবারও আছে। মেলার আয়োজন এবার ব্যতিক্রম। আশা করছি খুব ভালো বইমেলা হবে।

মেলায় কিছু স্টলে পাঠকদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এসব স্টলে রয়েছে বিখ্যাত ও সমসাময়িক লেখকদের রোমান্টিক উপন্যাস, প্রেমের কবিতা আর থ্রিলার বই। কয়েকটি প্রকাশনীর স্টলে কবিতার বই, বিশেষ করে প্রেমের কবিতার বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। আবার কিছু স্টলে পাঠকের চাহিদা অনুবাদগ্রন্থ, উপন্যাস এবং ভ্রমণকাহিনিতে।

বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, এবারের বইমেলায় প্রেমের কবিতা আর রোমান্টিক উপন্যাসের বই বেশি কিনছেন মেয়েরা। তবে ছেলেদের পছন্দ থ্রিলার বই।

book-fair

অক্ষর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী কাদের হাজীজি বলেন, গল্পের বইয়ের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগুচ্ছের চাহিদা বেশি। কবিতার মধ্যে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতার বই পাঠকের পছন্দের শীর্ষে। এছাড়া জীবনীগ্রন্থের মধ্যে চেঙ্গিস খানের জীবনী নিয়ে লেখা বই চলছে বেশ। পাশাপাশি বাচ্চাদের বই তো আছেই। তবে মেলায় নতুন বইয়ের তেমন পাঠক নেই।

তিনি বলেন, মেলায় কবিতার বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। আর মেয়েদের আগ্রহ বেশি প্রেমের কবিতার বইয়ে। তারা প্রেমের কবিতার বই বেশি কিনছেন। ছেলেরা বই কিনতে আসে না। প্রেমিকা নিয়ে আসে, তারপর তাকে বই কিনে দিয়ে ছবি তুলে চলে যায়।

সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সুপন্ত চাকমা বলেন, আমাদের প্রকাশনী থেকে সায়েন্স ফিকশন বই বেশি চলছে। এসব বইয়ের মধ্যে জাফর ইকবাল স্যারের ‘প্রলয়’, ‘আমি পরামানব’, ‘ইকারাস’ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে কবিতার বইয়ে তেমন সাড়া নেই। এ বছর জাফর ইকবাল, আনিসুল হক এবং হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ভালো বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, মেয়েরা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস বিশেষ করে ‘নবনী’, ‘তিথির নীল তোয়ালে’, আর ‘আজ চিত্রার বিয়ে’ বেশি কিনছেন।

অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী শামিম হোসেন বলেন, আমাদের এখানে থ্রিলারধর্মী বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উপন্যাস। তার মধ্যে তৌহিদুর রহমানের ‘স্বপ্নস্নানের ফেরেশতা’ উপন্যাস বেশি বিক্রি হচ্ছে। এবারের বইমেলায় এই বইটি বেশ হিট করেছে। আর হুমায়ূন আহমেদের বই তো ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ।

তিনি বলেন, মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে আছে তৌহিদুর রহমানের উপন্যাস। তার সব উপন্যাস রোমান্টিক টাইপের। আর এসবই মেয়েরা বেশি কিনছেন। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা হুমায়ূন আহমেদ এবং অ্যাডভেঞ্চারের বই বেশি কিনছেন।

book

কথাপ্রকাশ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রিয়াজ জানান, তাদের প্রকাশনী থেকে প্রবন্ধ এবং গবেষণামূলক বই বেশি বিক্রি হয়। হরিশঙ্কর জলদাসের ‘কর্ণ’, রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সিরাজুল ইসলামের প্রবন্ধগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। মূলত প্রবন্ধই বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে মেয়েদের ঝোঁক রোমান্টিক উপন্যাসে।

হাওলাদার প্রকাশনীর প্রকাশক মোহাম্মদ মাকসুদ জানান, এবারের বইমেলায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বইয়ের প্রতি মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ছে। আজ ছুটির দিন না হলেও অনেক মানুষ বইমেলায় এসেছে। এবার বই বিক্রি অন্যবারের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।

অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রেতা স্বপন ইসলাম বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। প্রতিদিন যেখানে একটু বসে থাকার সুযোগ পাই, সেখানে আজ কোনো ফুসরত নেই।

বই মেলায় ঘুরতে আসা সিয়াস ইসলাম বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসি। আজ মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। কিছুটা বিরক্তও লাগছে। তবে আমেজ ফেরায় ভালোও লাগছে।

মেলায় আগত এক শিক্ষার্থী জানান, মেলায় আজ অনেক মানুষ দেখেছি। তবে, মেলায় ঢুকতেই ধুলোবালি, ময়লার স্তূপ, বৈদ্যুতিক তার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, দেখে খারাপ লাগছে। মেলা শুরুর আগেই এসব শেষ করা উচিত। প্রতিবারই দেখা যায় মেলা শুরুর প্রথম সপ্তাহজুড়ে কাজই চলতে থাকে। মেলার ভেতরে যে পরিমাণ ধুলোবালি উড়ছে তাতে ঠান্ডা-কাশি হয়ে যাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *