মো: কামাল হোসেন তালুকদার, বরগুনা প্রতিনিধি :
বিনা নোটিশে তালতলী উপজেলার বৃহৎ হাট ছোটবগী বাজারের ১৪৭টি বসতি দোকান ভাঙচুর করায় কোটি কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এর প্রতিবাদে সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধ সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় বিনা নোটিশে বেকু দিয়ে অকস্মাৎ বরগুনার তালতলী উপজেলার বৃহৎ সাপÍাহিক হাট ছোটবগী বাজারের দোকানপাট ভাংচুর শুরু হয়। পুলিশের প্রহরায় বরগুনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মনিরুজ্জামান উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে বেকু চালক একের পর এক দোকান পাট ভাঙতে শুরু করে। দোকান মালিকদের অনুরোধ কোন কাজে আসেনি। দোকানের ভিতরে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল সরিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ কোন দোকানী পায়নি। একটানা ৫ ঘন্টা ভাংচুর করে বাজারের ১৪৭টি কাচা পাকা দোকানের কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করেন।
এর ফলে বিক্ষুব্ধ দোকানীরা পরদিন শুক্রবার ছোটবগী বাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ, নৌ-পথ ও খেয়া পাড়াপাড় বন্ধ এবং শনিবার মানববন্ধন করেন। তারা ঐক্য বদ্ধ হয়ে ধর্মঘট আহবান করে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে দিলে দূর দুরান্ত থেকে আগত মাছ ব্যবসায়ী, কাচামাল ব্যবসায়ী, মুদি ব্যবসায়ীসহ গরু ব্যবসায়ীরা হাট থেকে ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে পিকে স্কুল নামক স্থানে হাট বসায় এবং সেখানে দিনভর বেচা-কেনা করে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম সাদিক তানভীর জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের তালিকা ভুক্ত ছিল। তাই বরগুনা জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মে: মনিরুজ্জামান এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
ছোটবগী বাজারের সাধারন সম্পাদক মো: দেলোয়ার সিকদার জানান, এই বাজারটি প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে এক ঐতিহ্যবাহী বাজার এই বাজারে ৬০/৭০ বছর যাবৎ ওয়াপদা বেড়িবাঁধের উপর ব্যবসায়ীরা দোকানদারী করে আসছে। পানি উন্নয়ন র্বোডের কর্মকর্তা কোন মাইকিং বা নোটিশ না ছাড়াই হুট করে দোকানগুলো ভাঙছে । আমাদের দাবী দোকানীদের পুর্ণবাসন করা হয়। দোকানীরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।