মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বানারীপাড়ায় আ. রব সেরনিয়াবাতের জন্মদিন উদযাপন রমযান মাসজুড়ে অসহায় গরীব রোজাদারদের ভরসা চেয়ারম্যান শাকিল সিরিজ জয় নিশ্চিতের মিশনে দুরন্ত বাংলাদেশ বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন বেলকুচির সাবেক এমপিএ ড. আবু হেনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন  সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই: হানিফ রাবিতে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন চার লক্ষাধিক  সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কায় শ্রীলঙ্কা যুবলীগ নেতা গোলাপের মৃত্যুতে এমপি এনামুল হকের শোক প্রকাশ  আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেয়া না হয়: মৌসুমী ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলনে মায়ের উপর নির্যাতনের বিচার চাইলেন ছেলে  বিএনপি নেতারা অসংলগ্ন প্রলাপ করছেন : ওবায়দুল কাদের নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ৭ বছরের জেল মেক্সিকোতে অভিবাসন কেন্দ্রে আগুন, নিহত ৩৭ রাজারহাটে ৪মাস পর বেতন ভাতা পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

তাড়াশে ‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলন

তাড়াশে ‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলন

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে প্রতি বছরের মতো কৃষকরা ‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত রসুনের আবাদ করছেন। বিগত বছরগুলোতে রসুনের ভালো ফলন এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। এদিকে সেঁচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ার মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকেরা “সাদা সোনা” খ্যাত রসুন তুলতে শুরু করেছেন। প্রতিবিঘা জমিতে ২৫/২৬ মণ হারে রসুন পাওয়া যাচ্ছে। আর বাজারে প্রতিমণ রসুন ৪ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৫ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম না থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও আমাদের এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এ বছর আমাদের এলাকার কৃষকেরা নতুন রসুন তুলতে শুরু করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫/২৬মণ হারে রসুনের ফলন হয়েছে। বাজারে দামও অনেক বেশি।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় একর প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ মণ রসুন পাওয়া যাচ্ছে। গড়ে প্রতি মণ রসুন ৪হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশ উপজেলায় এ বছর রসুনের ফলন হয়েছে, অনেক ভালো হয়েছে। বাজার মুল্যে বেশি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

বা/খ: এসআর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *