ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তাড়াশে মেধাবী শিক্ষার্থী রনি বাঁচতে চায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশরাফুল ইসলাম রনি,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রনি (২৬) বাঁচতে চান। আর ছেলে রনিকে বাঁচাতে তার মা রোমেনা খাতুন একটি কিডনী ছেলেকে দান করবেন। কিন্তু অস্ত্রপচার খরচ জোগাতে না পেরে অস্ত্রপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের নির্মান শ্রমিক মো. লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রনির জন্ম ১৯৯৬ সালে। জন্মের পর ১৯৯৮ থেকে সে জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যেই বাবা লুৎফর রহমান ছেলেকে বাঁচাতে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে থাকেন। পাশাপাশি ছেলের পড়া-লেখাও চলতে থাকে। সে এস এস সি ও এইচ এস সিতে ভাল ফলাফলও করেন। বর্তমানে রনি তাড়াশের দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

রনি জানান, তার কিডনীর চিকিৎসা চলতে চলতেই ২০১৯ সালে আরো অবনতি হয়। সে থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’বার ডায়লোসিস করাতে হচ্ছে তাঁকে । এতে করে প্রতি সপ্তাহে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।

এ দিকে রনির চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেলের কিডনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.রেজাউন রহমান জরুরী রনিকে বাঁচাতে কিডনী প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। সে মোতাবেক রনির মা রোমেনা খাতুন ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর একটি কিডনী দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক রমজানের পর কিডনী প্রতিস্থাপনের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। কিন্তু কিডনী প্রতিস্থাপন অস্ত্রপচারে ৯ থেখে ১০ লাখ টাকা খরচ পরবে। সে টাকার সংস্থান এখনও হয়নি।

রনির বাবা লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ সন্তানকে বাঁচাতে জমি, বসত ভিটা বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছি। একজন নির্মান শ্রমিক হিসেবে যে রোজগার হয় তাতে ছেলের ব্যয় বহুল কিডনীর চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এখন। তাই জরুরী ভিত্তিতে রনিকে বাঁচাতে কিডনী প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিস্থাপেনের ব্যয়ভার বহন করার সক্ষমতা আমার নেই। তাই ছেলেকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিবানদের নিকট আর্থিক সহযোগীতা বিনীত ভাবে কামনা করছি। সহযোগীতা পাঠানোর ঠিকানা- বিকাশ-০১৭৩৪-২৬৩০৯৩, নগদ-০১৭৭৯-৬৭৯৫৫৭।

বা/খ : এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

তাড়াশে মেধাবী শিক্ষার্থী রনি বাঁচতে চায়

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আশরাফুল ইসলাম রনি,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রনি (২৬) বাঁচতে চান। আর ছেলে রনিকে বাঁচাতে তার মা রোমেনা খাতুন একটি কিডনী ছেলেকে দান করবেন। কিন্তু অস্ত্রপচার খরচ জোগাতে না পেরে অস্ত্রপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের নির্মান শ্রমিক মো. লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রনির জন্ম ১৯৯৬ সালে। জন্মের পর ১৯৯৮ থেকে সে জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যেই বাবা লুৎফর রহমান ছেলেকে বাঁচাতে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে থাকেন। পাশাপাশি ছেলের পড়া-লেখাও চলতে থাকে। সে এস এস সি ও এইচ এস সিতে ভাল ফলাফলও করেন। বর্তমানে রনি তাড়াশের দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

রনি জানান, তার কিডনীর চিকিৎসা চলতে চলতেই ২০১৯ সালে আরো অবনতি হয়। সে থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’বার ডায়লোসিস করাতে হচ্ছে তাঁকে । এতে করে প্রতি সপ্তাহে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।

এ দিকে রনির চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেলের কিডনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.রেজাউন রহমান জরুরী রনিকে বাঁচাতে কিডনী প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। সে মোতাবেক রনির মা রোমেনা খাতুন ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর একটি কিডনী দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক রমজানের পর কিডনী প্রতিস্থাপনের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। কিন্তু কিডনী প্রতিস্থাপন অস্ত্রপচারে ৯ থেখে ১০ লাখ টাকা খরচ পরবে। সে টাকার সংস্থান এখনও হয়নি।

রনির বাবা লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ সন্তানকে বাঁচাতে জমি, বসত ভিটা বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছি। একজন নির্মান শ্রমিক হিসেবে যে রোজগার হয় তাতে ছেলের ব্যয় বহুল কিডনীর চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এখন। তাই জরুরী ভিত্তিতে রনিকে বাঁচাতে কিডনী প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিস্থাপেনের ব্যয়ভার বহন করার সক্ষমতা আমার নেই। তাই ছেলেকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিবানদের নিকট আর্থিক সহযোগীতা বিনীত ভাবে কামনা করছি। সহযোগীতা পাঠানোর ঠিকানা- বিকাশ-০১৭৩৪-২৬৩০৯৩, নগদ-০১৭৭৯-৬৭৯৫৫৭।

বা/খ : এসআর।