ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তাজরিন ট্র্যাজেডিতে ১০ বছরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সাভারে তাজরিন ট্র্যাজেডির ১০ বছরেও ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন আহত শ্রমিকরা। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, দেনদরবার, আবেদন, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিডিয়ার প্রতিবেদনেই আটকে আছে তাজরিন ট্র্যাজেডি। ট্র্যাজেডির মূলহোতা কারখানার ম্যানেজার ও মালিক দেলোয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে দাবি শ্রমিক নেতাদের।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট। ভবনজুড়ে আগুন আর আগুন। ১০ বছর আগের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনের আটতলা ভবনের ভয়াবহ আগুনের কথা এখনও মনে পড়ে আতকে ওঠেন ভুক্তভোগীরা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেদিন অনিশ্চিত জীবনের আতঙ্ক নিয়ে অনেকেই লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচেছেন আবার মারাও গেছেন অনেকে।

আজও সে রাতের কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন আহতরা। ১০ বছর পর নিশ্চিন্তপুরের ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও একসময়ের কর্মঠ শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।

শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলেন, ১০ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও নিহত শ্রমিক পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, একজীবন সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, এ পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। বলা হয়েছিল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা, কিন্তু তাও করা হয়নি।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ওই দিন গার্মেন্টেসে মালিক তার নিজের গাড়িটিও পাশের ভবনের গ্যারেজে রেখেছিল এবং ফ্যাক্টরির মালমাল আনা-নেয়ার অন্যান্য গাড়িগুলোও বাইরে রাখা হয়েছিল। তার মানে এটাই প্রমাণিত হয় মালিকপক্ষ ইচ্ছা করেই শ্রমিকদের পুড়িয়ে মেরেছে।
তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। আর আহত প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তাজরিন ট্র্যাজেডিতে ১০ বছরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ

আপডেট সময় : ০৪:২০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সাভারে তাজরিন ট্র্যাজেডির ১০ বছরেও ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন আহত শ্রমিকরা। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, দেনদরবার, আবেদন, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিডিয়ার প্রতিবেদনেই আটকে আছে তাজরিন ট্র্যাজেডি। ট্র্যাজেডির মূলহোতা কারখানার ম্যানেজার ও মালিক দেলোয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে দাবি শ্রমিক নেতাদের।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট। ভবনজুড়ে আগুন আর আগুন। ১০ বছর আগের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনের আটতলা ভবনের ভয়াবহ আগুনের কথা এখনও মনে পড়ে আতকে ওঠেন ভুক্তভোগীরা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেদিন অনিশ্চিত জীবনের আতঙ্ক নিয়ে অনেকেই লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচেছেন আবার মারাও গেছেন অনেকে।

আজও সে রাতের কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন আহতরা। ১০ বছর পর নিশ্চিন্তপুরের ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও একসময়ের কর্মঠ শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।

শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলেন, ১০ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও নিহত শ্রমিক পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, একজীবন সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, এ পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। বলা হয়েছিল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা, কিন্তু তাও করা হয়নি।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ওই দিন গার্মেন্টেসে মালিক তার নিজের গাড়িটিও পাশের ভবনের গ্যারেজে রেখেছিল এবং ফ্যাক্টরির মালমাল আনা-নেয়ার অন্যান্য গাড়িগুলোও বাইরে রাখা হয়েছিল। তার মানে এটাই প্রমাণিত হয় মালিকপক্ষ ইচ্ছা করেই শ্রমিকদের পুড়িয়ে মেরেছে।
তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। আর আহত প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।