ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব : গয়েশ্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফুসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন করার স্বপ্ন সরকারকে ভুলে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ যেহেতু উন্নয়ন করেছে তাহলে আস্থা নিয়ে জনগণের কাছে যাক। জনগণ যদি লুটপাটের জন্য আবার তাদের নির্বাচিত করে আমরা, বাধা দেব না।

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। মানুষ যাতে আগামীতে ভোট দিতে পারে, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে, রিজভীদের জেলে রেখে নির্বাচন দেবেন, সেটা ভুলে যান।

গয়েশ্বর বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ নৌকায় চড়ে নাই। পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ কিছু ভোট জোগাড় করছে। এবার সেই পুলিশ ভোট জোগাড় করবে কিনা সেটা মাথায় রাইখেন। মানুষ আর ভাঙা নৌকায় উঠবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যে নৌকার তলা ফেটে গেছে সেই নৌকায় কেউ মরতে উঠবে না। নদীতে পানি না থাকলে কেউ ঝাঁপ দেয় না। এখন মানুষ বলে, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। কোনো দল নির্বাচনে যাবে না। যারা যাবে তারা বেইমান। খাদ্য রেখে খান, বেলা থাকতে ঘরে ফিরুন।

বিএনপিকে ভয়-ডর দেখিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কাউকে ভায় পায় না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করুন, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। ’৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা আদমজীতে বিএনপির সমাবেশে বোমা হামলা করে বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ৩২ নম্বর বাসভবনে জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন সেই ছবি আছে। আপনারা জনগণের আস্থা অর্জনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। ’৭১ সালের পরে লুটপাট ও কম্বল চুরি করার রেকর্ড আপনাদের আছে। ক্ষমতায় থাকতেই হবে- এই ধারণা থাকলে তাদের গণতন্ত্রমনা বলা যায় না।

গয়েশ্বর বলেন, সকল দুর্নীতির আড়তদার বর্তমান সরকার। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনো ব্যবস্থা নেননি। ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে আবারও চুক্তি করেছে অথচ ভারতেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক, না হোক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম ২০০ ডলার আর আদানির সঙ্গে ৪০০ ডলারে চুক্তি করেছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সরকারে সঙ্গে সরকারে নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে এত জ্বালানি সংকট কেন? আসলে টাকা নাই। বিএনপির দাবি মানবেন কি মানবেন না- তা আপনাদের বিষয়, কিন্তু জনগণের দাবি মেনে দিনের ভোট দিনে নিতে হবে। মানুষ আর রাতের ভোট চায় না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়ুন, না হলে আপনাদের কি হবে তা কেউ জানে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) গণভবনে বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা আর হবে না। ’৯১ সালে আপনি গোপালগঞ্জ ছাড়া বাকি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন, আর খালেদা জিয়া ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতায় রেখে সাধারণ মানুষ ভোটের অধিকার কোনো দিন ফিরে পাবে না। শুঁটকি মাছ পাহারার জন্য যেমন বিড়াল রাখা যাবে না, তেমনি ভোট পাহারার জন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির দাবি মানবেন কী মানবেন তা আপনাদের (সরকার) বিষয়। কিন্তু জনগণের দাবি মেনে দিনের ভোট দিনে দিন। মানুষ আর রাতের ভোট চায় না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়ুন। তা না হলে আপনাদের (সরকার) কী হবে তা কেউ জানে না।

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, মানুষ বাঁচতে চায়। অচিরেই আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতা থেকে নামতে হবে। তখন কোথায় যাবেন সেটা খুঁজুন।

১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশটা কিন্তু ভাষণে মুক্ত হয়নি, যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। আবারও ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে। কাফনের কাপড় ছাড়া মানুষের দাফন হবার দিন ঘনিয়ে আসছে।

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফুসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন করার স্বপ্ন সরকারকে ভুলে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ যেহেতু উন্নয়ন করেছে তাহলে আস্থা নিয়ে জনগণের কাছে যাক। জনগণ যদি লুটপাটের জন্য আবার তাদের নির্বাচিত করে আমরা, বাধা দেব না।

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। মানুষ যাতে আগামীতে ভোট দিতে পারে, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে, রিজভীদের জেলে রেখে নির্বাচন দেবেন, সেটা ভুলে যান।

গয়েশ্বর বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ নৌকায় চড়ে নাই। পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ কিছু ভোট জোগাড় করছে। এবার সেই পুলিশ ভোট জোগাড় করবে কিনা সেটা মাথায় রাইখেন। মানুষ আর ভাঙা নৌকায় উঠবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যে নৌকার তলা ফেটে গেছে সেই নৌকায় কেউ মরতে উঠবে না। নদীতে পানি না থাকলে কেউ ঝাঁপ দেয় না। এখন মানুষ বলে, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। কোনো দল নির্বাচনে যাবে না। যারা যাবে তারা বেইমান। খাদ্য রেখে খান, বেলা থাকতে ঘরে ফিরুন।

বিএনপিকে ভয়-ডর দেখিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কাউকে ভায় পায় না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করুন, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। ’৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা আদমজীতে বিএনপির সমাবেশে বোমা হামলা করে বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ৩২ নম্বর বাসভবনে জামায়াতের নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন সেই ছবি আছে। আপনারা জনগণের আস্থা অর্জনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। ’৭১ সালের পরে লুটপাট ও কম্বল চুরি করার রেকর্ড আপনাদের আছে। ক্ষমতায় থাকতেই হবে- এই ধারণা থাকলে তাদের গণতন্ত্রমনা বলা যায় না।

গয়েশ্বর বলেন, সকল দুর্নীতির আড়তদার বর্তমান সরকার। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনো ব্যবস্থা নেননি। ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে আবারও চুক্তি করেছে অথচ ভারতেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হোক, না হোক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম ২০০ ডলার আর আদানির সঙ্গে ৪০০ ডলারে চুক্তি করেছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সরকারে সঙ্গে সরকারে নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে এত জ্বালানি সংকট কেন? আসলে টাকা নাই। বিএনপির দাবি মানবেন কি মানবেন না- তা আপনাদের বিষয়, কিন্তু জনগণের দাবি মেনে দিনের ভোট দিনে নিতে হবে। মানুষ আর রাতের ভোট চায় না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়ুন, না হলে আপনাদের কি হবে তা কেউ জানে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) গণভবনে বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা আর হবে না। ’৯১ সালে আপনি গোপালগঞ্জ ছাড়া বাকি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন, আর খালেদা জিয়া ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতায় রেখে সাধারণ মানুষ ভোটের অধিকার কোনো দিন ফিরে পাবে না। শুঁটকি মাছ পাহারার জন্য যেমন বিড়াল রাখা যাবে না, তেমনি ভোট পাহারার জন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির দাবি মানবেন কী মানবেন তা আপনাদের (সরকার) বিষয়। কিন্তু জনগণের দাবি মেনে দিনের ভোট দিনে দিন। মানুষ আর রাতের ভোট চায় না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়ুন। তা না হলে আপনাদের (সরকার) কী হবে তা কেউ জানে না।

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, মানুষ বাঁচতে চায়। অচিরেই আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতা থেকে নামতে হবে। তখন কোথায় যাবেন সেটা খুঁজুন।

১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশটা কিন্তু ভাষণে মুক্ত হয়নি, যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। আবারও ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে। কাফনের কাপড় ছাড়া মানুষের দাফন হবার দিন ঘনিয়ে আসছে।

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।