ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে লেন সঙ্কুচিত হয়ে এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর যানজট চলে এসেছে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত। কোনো গাড়িই সামনে এগোতে পারছে না। এদিকে, বেলা বাড়তেই সড়কে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।

সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি ছিল। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানবাহন চলছিল। বৃষ্টিতে মহাসড়কে নতুন করে খানাখন্দ তৈরি হওয়া ও পুরোনো খানাখন্দগুলো বড় আকার ধারণ করায় অনেক জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে।

সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু আজকের অবস্থা আরো বেশি খারাপ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর পাঁচটা থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা আরো বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এমনিতেই ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সড়কের পাশের নালাও নোংরা-আবর্জনায় প্রায় ভরা। এতে নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজটের। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকালও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়। এতে গতকালও যানজটের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি। কিন্তু এর মাঝে সড়ক মেরামত না করায় আজ ভোর থেকেই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের মন্তব্য, বিআরটি প্রকল্পের ধীরগতির কাজের কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায় এবং নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজট। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকালও সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় যানজটের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি।

একইভাবে সড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকার পরিদর্শক শেখ শাহাদাত আলী বলেন, রাস্তার অবস্থা বেশ বাজে। প্রকল্পের কোনো লোক আমাদের কথা শোনেনি। তারা মিলগেটের অল্প একটু রাস্তা, সেটাও ঠিক করে দেয়নি। যানজট চলে গেছে বোর্ডবাজার পর্যন্ত।

বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। যেখানে বেশি ভাঙা, সেখানে আগে মেরামত করছি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) অশোক কুমার পাল বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সড়কে গর্ত করে উড়াল সেতুর পিলার তোলা হয়েছে। বৃষ্টিতে সেই গর্তের পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ায় মহাসড়কের ওই অংশে ঢাকামুখী এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এখানেই মূলত যানজট হচ্ছে।

এছাড়া বৃষ্টিতে তৈরি খানাখন্দ বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ইট সুরকি দিয়ে মেরামত করেছিল। ভারী যানবাহন চলাচলে সেগুলো উঠে গেছে। খানাখন্দগুলো বড় হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট

আপডেট সময় : ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে লেন সঙ্কুচিত হয়ে এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর যানজট চলে এসেছে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত। কোনো গাড়িই সামনে এগোতে পারছে না। এদিকে, বেলা বাড়তেই সড়কে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।

সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি ছিল। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানবাহন চলছিল। বৃষ্টিতে মহাসড়কে নতুন করে খানাখন্দ তৈরি হওয়া ও পুরোনো খানাখন্দগুলো বড় আকার ধারণ করায় অনেক জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে।

সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু আজকের অবস্থা আরো বেশি খারাপ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর পাঁচটা থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা আরো বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এমনিতেই ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সড়কের পাশের নালাও নোংরা-আবর্জনায় প্রায় ভরা। এতে নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজটের। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকালও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়। এতে গতকালও যানজটের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি। কিন্তু এর মাঝে সড়ক মেরামত না করায় আজ ভোর থেকেই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের মন্তব্য, বিআরটি প্রকল্পের ধীরগতির কাজের কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায় এবং নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজট। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকালও সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় যানজটের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি।

একইভাবে সড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকার পরিদর্শক শেখ শাহাদাত আলী বলেন, রাস্তার অবস্থা বেশ বাজে। প্রকল্পের কোনো লোক আমাদের কথা শোনেনি। তারা মিলগেটের অল্প একটু রাস্তা, সেটাও ঠিক করে দেয়নি। যানজট চলে গেছে বোর্ডবাজার পর্যন্ত।

বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। যেখানে বেশি ভাঙা, সেখানে আগে মেরামত করছি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) অশোক কুমার পাল বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সড়কে গর্ত করে উড়াল সেতুর পিলার তোলা হয়েছে। বৃষ্টিতে সেই গর্তের পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ায় মহাসড়কের ওই অংশে ঢাকামুখী এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এখানেই মূলত যানজট হচ্ছে।

এছাড়া বৃষ্টিতে তৈরি খানাখন্দ বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ইট সুরকি দিয়ে মেরামত করেছিল। ভারী যানবাহন চলাচলে সেগুলো উঠে গেছে। খানাখন্দগুলো বড় হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।