ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

ঢাকা দখলের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি এখন ডিফেন্সিভে : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকার রাজপথ দখলের ঘোষণা দিয়ে এখন ডিফেন্সিভ মুডে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) আপনারা ডিফেন্সিভ মুডে কেন? মনে হলো এই ক্ষমতা নিয়ে গেলেন। এই তো ফিরে গেলাম ময়ূর সিংহাসনে, এ হাওয়া ভবন এসে গেল এ রকম একটা ভাব ছিল না? কোথায় গেল এ ভাব? এখন বলে কি আমাদের তো এ ধরনের কোনো চিন্তা ছিল না। তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা? কারা লাল কার্ড দেখায়? বলে, ঢাকার রাজ পথে বিজয় মিছিল হবে। তাই না, বলছে না। বিজয় মিছিল করবেন সরকারের পতন ঘটিয়ে? এসব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বুলি আউড়িয়ে গেছে। এখন ভিন্ন সুর! না জানি কী কৌশল!

তবে কি বিএনপি নতুন সুরে নতুন কৌশল করছে এমন প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ভিন্ন সুর, না জানি কি কৌশল। এখন মুখে বলছে আমাদের সমাবেশ হবে অনুমতি চাই। মুখে হলো রক্ষণাত্মক মনোভাব, আর অন্তরে হচ্ছে আক্রমণাত্মক শোডাউন। ফখরুল এখন বলেন অনিশ্চয়তার দিকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। তারা (বিএনপি) যেভাবে যাচ্ছে, তারাই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।

বিএনপির প্রধান শত্রু শেখ হাসিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা জানি তাদের জ্বালাটা কোথায়, তাদের বুকের ব্যথা, মনের জ্বালা অন্তর্জালা। ১৯ বার শেখ হাসিনার ওপর প্রাণনাশের হামলা হয়েছে। আমরা বুঝি কেন? এত চেষ্টার পরেও শেখ হাসিনা কেন বেঁচে আছে। তাদের প্রধান শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলবে, আপস করাবে, এমন সুযোগ নেই। বিএনপির প্রধানতম শত্রু হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। বারবার হত্যার চক্রান্তের পরও মাথা নত করেননি শেখ হাসিনা। তাদের জ্বালা কেন তিনি এত দিন ক্ষমতায় আছেন। জ্বালা কেন? বুঝি। শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলবেন? শেখ হাসিনা আল্লা ছাড়া কাউকে ভয় পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি, খেলা হবে, নির্বাচনে আসেন। ডিসেম্বরে খেলা হবে হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, নির্বাচনে আসল খেলা। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনে। নির্বাচনে আসুন তখন দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয় নির্বাচন হলে আবারও টের পাবেন।

বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি হয়। এমন পার্টি আওয়ামী লীগ না যে দাবি করলেই নেতা হয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক। জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে মীর জাফর আলী খান তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেননি- এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তেমনি খন্দকার মোশতাক তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কোনো প্রভুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের দাসত্ব করে না।

তিনি বলেন, জিয়া খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে ইমডেমনিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর জবাব বিএনপি নেতারা দিতে পারেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি, তাদের নেতা জিয়া এর সূচনা করেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর পরেও নানা উন্নয়ন কাজ করছে। বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। ফখরুল সাহেব, চোখে চশমা পড়েছেন। কালো চশমা। দেখতে পাচ্ছেন না। নিজেদের কিছু নেই। শেখ হাসিনা কেন এত কিছু করলেন?

এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরিন আহমেদ এমপি। সম্মেলন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/7hcz

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকা দখলের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি এখন ডিফেন্সিভে : কাদের

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকার রাজপথ দখলের ঘোষণা দিয়ে এখন ডিফেন্সিভ মুডে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) আপনারা ডিফেন্সিভ মুডে কেন? মনে হলো এই ক্ষমতা নিয়ে গেলেন। এই তো ফিরে গেলাম ময়ূর সিংহাসনে, এ হাওয়া ভবন এসে গেল এ রকম একটা ভাব ছিল না? কোথায় গেল এ ভাব? এখন বলে কি আমাদের তো এ ধরনের কোনো চিন্তা ছিল না। তাহলে লাল কার্ড দেখিয়েছে কারা? কারা লাল কার্ড দেখায়? বলে, ঢাকার রাজ পথে বিজয় মিছিল হবে। তাই না, বলছে না। বিজয় মিছিল করবেন সরকারের পতন ঘটিয়ে? এসব অনেক কথা বিএনপি নেতারা অবিরাম তোতা পাখির মতো বুলি আউড়িয়ে গেছে। এখন ভিন্ন সুর! না জানি কী কৌশল!

তবে কি বিএনপি নতুন সুরে নতুন কৌশল করছে এমন প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ভিন্ন সুর, না জানি কি কৌশল। এখন মুখে বলছে আমাদের সমাবেশ হবে অনুমতি চাই। মুখে হলো রক্ষণাত্মক মনোভাব, আর অন্তরে হচ্ছে আক্রমণাত্মক শোডাউন। ফখরুল এখন বলেন অনিশ্চয়তার দিকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। তারা (বিএনপি) যেভাবে যাচ্ছে, তারাই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।

বিএনপির প্রধান শত্রু শেখ হাসিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা জানি তাদের জ্বালাটা কোথায়, তাদের বুকের ব্যথা, মনের জ্বালা অন্তর্জালা। ১৯ বার শেখ হাসিনার ওপর প্রাণনাশের হামলা হয়েছে। আমরা বুঝি কেন? এত চেষ্টার পরেও শেখ হাসিনা কেন বেঁচে আছে। তাদের প্রধান শত্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলবে, আপস করাবে, এমন সুযোগ নেই। বিএনপির প্রধানতম শত্রু হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। বারবার হত্যার চক্রান্তের পরও মাথা নত করেননি শেখ হাসিনা। তাদের জ্বালা কেন তিনি এত দিন ক্ষমতায় আছেন। জ্বালা কেন? বুঝি। শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলবেন? শেখ হাসিনা আল্লা ছাড়া কাউকে ভয় পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি, খেলা হবে, নির্বাচনে আসেন। ডিসেম্বরে খেলা হবে হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, নির্বাচনে আসল খেলা। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনে। নির্বাচনে আসুন তখন দেখা যাবে জনগণ কার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয় নির্বাচন হলে আবারও টের পাবেন।

বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, যাদের বছরের পর বছর সম্মেলন হয় না। যাদের ঘরে বসে কমিটি হয়। এমন পার্টি আওয়ামী লীগ না যে দাবি করলেই নেতা হয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক। জিয়াউর রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতির সূচনা করেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তবে মীর জাফর আলী খান তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেননি- এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তেমনি খন্দকার মোশতাক তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কোনো প্রভুর রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের দাসত্ব করে না।

তিনি বলেন, জিয়া খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে ইমডেমনিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর জবাব বিএনপি নেতারা দিতে পারেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি, তাদের নেতা জিয়া এর সূচনা করেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর পরেও নানা উন্নয়ন কাজ করছে। বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। ফখরুল সাহেব, চোখে চশমা পড়েছেন। কালো চশমা। দেখতে পাচ্ছেন না। নিজেদের কিছু নেই। শেখ হাসিনা কেন এত কিছু করলেন?

এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শিরিন আহমেদ এমপি। সম্মেলন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/7hcz