নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমরা ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে কাজ করছি। বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেওয়া হবে। ঢাকার সব ফ্ল্যাটের মালিকের ট্যাক্স নেওয়া হবে। মিটার ধরে বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেওয়া হবে। তাদের কর নেটের আওতায় আমরা আনতে চাই।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের আগারগাঁওয়ের নতুন ভবনে প্রিন্ট ও মিডিয়া মালিক সমিতির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ঢাকা শহরে এক বা একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিকের ট্যাক্স দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। যারা অনেকেই করনেটের বাইরে রয়েছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি ফ্ল্যাট ও বাড়িতে গিয়ে জরিপ করে কর নেট বৃদ্ধি করা যাবে না। সে কারণেই আমরা এ বছর ৩৮টি সেবায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করেছি।
রহমাতুল মুনিম বলেন, ট্যাক্স ভীতি দূর না হলে ট্যাক্স নেট বাড়বে না। ট্যাক্স ভীতির মধ্যে কী কী কারণ আছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। একটি বিষয় পরিষ্কার ধারণা পাওয়া দরকার, আমাদের আচরণের কারণে ট্যাক্স ভীতি হচ্ছে কিনা। যার মধ্যে রয়েছে অডিট। এ বিষয়টি আমরা আরও অধিক যুক্তিযুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছি। যাতে একজন করদাতা অহেতুক হয়রানির শিকার না হন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ঠিকাদারদের টিন ও রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অনেক অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে কাজ করছি। গাড়ির মালিক ট্যাক্স দেন কি না, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে ইন্ট্রিগেশন করছি। এভাবে কর বাড়ানোর কাজ করছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ জন্য আমরা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সঙ্গে কাজ করছি। বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক খুঁজে বের করে ট্যাক্স নিতে গেলে অনেকে বলবেন এ বাড়ি আমার নয়, মালিক এখানে থাকেন না। কিন্তু মিটারের প্রকৃত মালিক খুঁজে পেলে তখন অস্বীকার করতে পারবেন না।
আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, করের আওতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঠিকাদারদের টিন ও রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অনেক কোম্পানি টিন সনদ দেখা হয়। এটার কারণে নেট বাড়ছে। অনেক অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে কাজ করছি। গাড়ির মালিক ট্যাক্স দেন কি না? আমরা ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে কাজ করছি। বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেবো। ঢাকার সব ফ্ল্যাটের মালিকের ট্যাক্স নেওয়া হবে। মিটারের মালিক ধরে বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেওয়া হবে। সেই কাজ আমরা করে যাচ্ছি। সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে ইন্ট্রিগেশন করছি। এভাবে কর বাড়ানোর কাজ করছি।
তিনি বলেন, বলার সময় বলে ৬ কোটি মানুষ ট্যাক্স দিতে পারবে, এটা সঠিক নয়। ২০০৭ সাল থেকে ব্যক্তি আয়কর দেওয়া শুরু হয়। ২০০৭ সালের আগে ব্যক্তি করদাতা ছিলেন না। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স দিতে সময় লাগবে। অটোমেশন না হলে হবে না। অনেক টাকার মালিক ধরা যায় না, টাকা কম্বলের ভেতর রাখে। তবে, দ্রুত নেট বাড়বে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় আজ নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) পক্ষ বেশকিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে।
এসময় সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ, কমিটির সদস্য মতিউর রহমান, মাহ্ফুজ আনাম এবং অ্যাটকোর সহ-সভাপতি ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।