ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্লাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

স্পিকার আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর’স কাউন্সিল (এসএটিআরসি)’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ইরানের আইসিটি উপমন্ত্রী ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির প্রেসিডেন্ট আলী রেজা দারবেশী’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি’র মহাসচিব মানাসুরি কুন্দ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে আসছে।

স্পিকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার এবং ৫এ প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ও কর্মকৌশল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসময় স্পিকারসহ আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও আয়োজকদেরকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, আয়োজক বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : স্পিকার

আপডেট সময় : ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্লাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

স্পিকার আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর’স কাউন্সিল (এসএটিআরসি)’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ইরানের আইসিটি উপমন্ত্রী ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির প্রেসিডেন্ট আলী রেজা দারবেশী’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি’র মহাসচিব মানাসুরি কুন্দ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে আসছে।

স্পিকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার এবং ৫এ প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ও কর্মকৌশল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসময় স্পিকারসহ আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও আয়োজকদেরকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, আয়োজক বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।