ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ১২ এপ্রিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনও সাক্ষী হাজির হননি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিন আসামি ডিআইজি মিজান ও তার ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। অপর আসামিরা হলেন– মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

২০২০ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই বছরের ২৫ জুন মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/p98n

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ১২ এপ্রিল

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনও সাক্ষী হাজির হননি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিন আসামি ডিআইজি মিজান ও তার ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। অপর আসামিরা হলেন– মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

২০২০ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই বছরের ২৫ জুন মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/p98n