ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরপরই দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সবার কাছেই দায়বদ্ধ। তবে বিশেষ করে যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের গ্রিসে এসে….ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে দুটি ট্রেন একই লাইন দিয়ে চলতে পারে না- কেউ বিষয়টি খেয়াল করল না।

যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে, এতগুলো মানুষের প্রাণ হারানোয় মেনে নিতে পারছে না দেশটির বহু মানুষ। এরজন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে ক্ষুব্ধ জনগণ। ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দেখতে চাচ্ছেন তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী এথেন্সে বিক্ষোভে জড়ো হয় কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ। পুলিশ ক্ষুব্ধদের থামাতে চড়াও হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, আটক হন পাঁচজন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, কয়েকজন বিক্ষোভকারী ময়লার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস এবং শব্দ বোমা ছুড়ে পুলিশ। কিছু সময়ের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজপথ।

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এদিন আকাশে শত শত কালো বেলুন উড়াতে দেখা যায় আন্দোলকারীদের। কিছু কিছু বেলুনে সরকারবিরোধী কথা উল্লেখ ছিল।

এদিকে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস।

কোস্টাস কারামানলিস বলেছিলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এ ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। একইসঙ্গে মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছি।

এই দুর্ঘটনাকে মনুষ্য ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলায় হত্যার অভিযোগে এনে (৫৯) স্টেশন মাস্টারকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাকে এখনও পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান। সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরপরই দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সবার কাছেই দায়বদ্ধ। তবে বিশেষ করে যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের গ্রিসে এসে….ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে দুটি ট্রেন একই লাইন দিয়ে চলতে পারে না- কেউ বিষয়টি খেয়াল করল না।

যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে, এতগুলো মানুষের প্রাণ হারানোয় মেনে নিতে পারছে না দেশটির বহু মানুষ। এরজন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে ক্ষুব্ধ জনগণ। ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দেখতে চাচ্ছেন তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী এথেন্সে বিক্ষোভে জড়ো হয় কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ। পুলিশ ক্ষুব্ধদের থামাতে চড়াও হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, আটক হন পাঁচজন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, কয়েকজন বিক্ষোভকারী ময়লার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস এবং শব্দ বোমা ছুড়ে পুলিশ। কিছু সময়ের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজপথ।

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এদিন আকাশে শত শত কালো বেলুন উড়াতে দেখা যায় আন্দোলকারীদের। কিছু কিছু বেলুনে সরকারবিরোধী কথা উল্লেখ ছিল।

এদিকে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস।

কোস্টাস কারামানলিস বলেছিলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এ ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। একইসঙ্গে মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছি।

এই দুর্ঘটনাকে মনুষ্য ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলায় হত্যার অভিযোগে এনে (৫৯) স্টেশন মাস্টারকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাকে এখনও পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান। সূত্র: বিবিসি