ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টাকা নিয়ে বিক্রি করলেন ভোট, পরে দেখেন সব জাল নোট !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহিত

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সিারজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য পদপ্রার্থী ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে আগের রাতে কিছু ভোটারদের জাল টাকা দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তত ৭ জন ইউপি সদস্য।
জানা গেছে, ওই  ভোটাররা ভোটের আগের দিন রাতে টাকা নেয়ার পর নির্দিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে প্রার্থীর দেয়া সেই টাকা নিয়ে কিছু কেনাকাটা ও ফুর্তির জন্য বের হন তারা। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে পরখ করে দেখেন সব গুলো টাকাই জাল। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ। একথা শুনেই ভয়ে স্তব্ধ হন ওই সব ভোটাররা।
রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ও পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের অন্তত সাত ইউপি সদস্য এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে এই বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা রকম মন্তব্য। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন “ভোট দিয়েই ভোটাররা খেলেন ধরা।” তবে যে প্রার্থীকে নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে তিনি বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা) বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়ে ইতোমধ্যে জয়ের মালা পড়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

নাম প্রকাশ না শর্তে প্রতারণার স্বীকার ভোটাররা জানান, আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে ওই নোটের বান্ডিল গুলো বিতরণ করেছেন। আর বলেছেন এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। আর এতে তার নির্বাচনে ক্ষতি হবে। পরে সেই কথা অনুযায়ী তাঁরা ভোটের আগে টাকা গুলো খরচ না করে ভোট দেয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলে এগুলো জাল নোট। এর পর টাকা গুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।
স্থানীয় বেশ কজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নির্বাচনকে ঘিরে গত দুই এক সপ্তাহ ধরেই প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছেন। কোন কোন প্রার্থী এসব ভোটারদেরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সে গুলো জাল নোট কিনা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জাল নোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা তার জানা নেই। অভিযুক্ত জয়ী প্রার্থী সুমন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তার প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টিতে অবগত নই।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাকা নিয়ে বিক্রি করলেন ভোট, পরে দেখেন সব জাল নোট !

আপডেট সময় : ০২:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
সিারজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য পদপ্রার্থী ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে আগের রাতে কিছু ভোটারদের জাল টাকা দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তত ৭ জন ইউপি সদস্য।
জানা গেছে, ওই  ভোটাররা ভোটের আগের দিন রাতে টাকা নেয়ার পর নির্দিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে প্রার্থীর দেয়া সেই টাকা নিয়ে কিছু কেনাকাটা ও ফুর্তির জন্য বের হন তারা। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে পরখ করে দেখেন সব গুলো টাকাই জাল। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ। একথা শুনেই ভয়ে স্তব্ধ হন ওই সব ভোটাররা।
রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ও পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের অন্তত সাত ইউপি সদস্য এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে এই বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা রকম মন্তব্য। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন “ভোট দিয়েই ভোটাররা খেলেন ধরা।” তবে যে প্রার্থীকে নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে তিনি বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা) বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়ে ইতোমধ্যে জয়ের মালা পড়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

নাম প্রকাশ না শর্তে প্রতারণার স্বীকার ভোটাররা জানান, আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে ওই নোটের বান্ডিল গুলো বিতরণ করেছেন। আর বলেছেন এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। আর এতে তার নির্বাচনে ক্ষতি হবে। পরে সেই কথা অনুযায়ী তাঁরা ভোটের আগে টাকা গুলো খরচ না করে ভোট দেয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলে এগুলো জাল নোট। এর পর টাকা গুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।
স্থানীয় বেশ কজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নির্বাচনকে ঘিরে গত দুই এক সপ্তাহ ধরেই প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছেন। কোন কোন প্রার্থী এসব ভোটারদেরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সে গুলো জাল নোট কিনা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জাল নোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা তার জানা নেই। অভিযুক্ত জয়ী প্রার্থী সুমন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তার প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টিতে অবগত নই।