মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কাদামাটি সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) ঝিকরগাছা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কাটাখাল বঙ্গবন্ধু পার্কে আলোচনা, কবিতাপাঠ, মোড়ক উন্মোচন ও কাদামাটি সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়। এতে দেশের ও ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কবি সাহিত্যিকরা অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খাঁন। তিনি বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতি এক হওয়ার কারণে যখন সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হয় তখন দুই বাংলার (ভারত-বাংলাদেশ) শেকড় এক জায়গায় সেটা নতুন করে আবার দেখা যায়। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। ভাষা আন্দোলন থেকেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ও গীতিকার কাসেদুজ্জামান সেলিম। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, ভারতের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-গবেষক প্রফেসর ড. গাজী আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল হক, পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, কবি ও লেখক নজরুল ইসলাম খান, লেখক ও গবেষক বাবর আলী গোলদার প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন, ঝিকরগাছা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে.এম মামুনুর রশীদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্তসহ দেশের ১৮ টি জেলা থেকে আসা কবি-সাহিত্যিকরা। সাহিত্য আসরের প্রধান সমন্বয়কারী ও সঞ্চালক ছিলেন ঝিকরগাছা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি সাইফুদ্দিন সাইফুল। এবারের আসরের স্লোগান ছিল “কবিতা হয়ে উঠুক দ্রোহের শ্লোগান, জীবনে সমাজে অন্ধকার হোক অবসান”। অনুষ্ঠানে কাদামাটি সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এ সময় ১৫জন কবি-সাহিত্যিককে কাদামাটি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রকে বিশেষ কাঁদামাটি সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে লালন সঙ্গিতের সাথে নৃত্য উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ। এবারের সাহিত্য আসর তুরস্ক ও সিরিয়ার নিহতের স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।