সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন-বাঘাবাড়ি সড়ক পুনঃনির্মাণে আড়াই যুগের দুর্ভোগ লাঘব আদিতমারীতে গাইনি ও শিশুবান্ধব ওয়ার্ডের উদ্বোধন বেড়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু আকাঙ্খার মৃত্যুতে রহস্যজনক পোস্ট অভিনেত্রী কাজলের যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে রেলওয়ে সেতুর কাজ ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন, স্বীকৃতি দিবে জেলা প্রশাসন দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইতালি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না- প্রধানমন্ত্রী গলাচিপায় শিশু ছবি ঘরে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিবের মামলা আবারও ঢাকাই সিনেমায় আসছেন মিঠুন তাড়াশে ভুট্টার বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা বুয়েটের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ পাঁচবিবি ছমিরন নেছা বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জাবি মাতালেন অঞ্জন দত্ত

জাবি মাতালেন অঞ্জন দত্ত

বিনোদন ডেস্ক : 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৩১তম ব্যাচের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে গানের সুরে মাতালেন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত সোয়া ১০টায়।

‘অসম্ভব সুন্দর আজকের এই আয়োজন। বয়স অনেক হয়ে গেছে, আজ যা পারবো গাইবো। বেশি গাইতে জোর করবেন না। জীবনে অনেক কাজ করেছি। এর মধ্যে হয়তো কিছু ভালো কাজও করেছি, এ জন্য বাংলাদেশে আমার লাখ লাখ ভক্ত রয়েছে। সবার সাথে কাজ করতে পারাটাও আমার আরেকটি ভালো কাজ।

এ কথাগুলো বলেই ‘হ্যালো বাংলাদেশ’ গানের মধ্য দিয়ে সংগীত পরিবেশনা শুরু করেন ভারতীয় বিখ্যাত সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ‘বেলা বোস’, ‘রঞ্জনা’, ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’, ‘ম্যারি এ্যান’, ‘তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না’-এর মতো জনপ্রিয় সব গান পরিবেশন করেন তিনি।

‘এখন আপনাদের একটি প্রিয় গান গাইবো’ বলেই শুরু করেন ‘রঞ্জনা’ গানটি। তবে একা গাননি। মাঝেমধ্যে নিজে চুপ থেকে শুধু গিটার বাজিয়ে গাইয়েছেন দর্শকদের।

টিভি কিংবা সিনেমার পর্দার বাইরে সরাসরি অঞ্জনের গানের অনুষ্ঠান দেখে উচ্ছ্বসিত শ্রোতারাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হওয়া তারই প্রমাণ দেয়। অনুষ্ঠান চলাকালে অঞ্জনকে একটিবার দেখার জন্য কোনও কোনও ভক্ত উঠে গেছেন মুক্তমঞ্চের ছাদে, কেউ গাছের ডালে বাসে আছেন, আবার কেউ কেউ মুক্তমঞ্চের চারপাশের পিলারগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন পুরো সময়জুড়ে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও এর আশপাশের এলাকার অনেক সংগীতপ্রেমী দুপুরের পর থেকে এসে ভিড় জমিয়েছেন। কানায় কানায় পূর্ণ মুক্তমঞ্চে প্রবেশ করার কোনও সুযোগই ছিল না সন্ধ্যার পর। আর দর্শকরাও সরাসরি অঞ্জনের পারফর্ম দেখতে একটিবারের জন্যও ছাড়েননি নিজের জায়গাটি।

২০টি গানে জাবির মুক্তমঞ্চ মাতালেন সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত

গান পরিবেশনের আগে অঞ্জন দত্ত বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলাম। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম এসেছি। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। এপার বাংলার লাখ লাখ দর্শক শ্রোতা রয়েছে আমার। যাদেরকে আমি ভীষণ ভালোবাসি এবং স্মরণ করি। আমি এসব মানুষের ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।

তিনি আরও বলেন, বেলাবোস নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নাই এখন তিনি হয়তো মূখার্জি, খান অথবা চৌধুরী হয়ে গেছেন। এখন ল্যান্ডফোনের যুগটাও নেই হয়ে গেছে, মোবাইলের যুগ। তবুও আপনারা বেলা বোস নিয়ে পড়ে আছেন?

অনুষ্ঠান শেষে অনুভূতি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমিনুল বলেন, ‘অসাধারণ একটি আয়োজন ছিল আজ। এত দিন যার গান মোবাইলে শুনেছি, আজ সরাসরি তার পরিবেশনা দেখলাম। মঞ্চে জায়গা পাইনি, তাই দাঁড়িয়েই দেখতে হয়েছে পুরো অনুষ্ঠান।’

রাজিয়া আক্তার বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পাশেই আমার বাসা। অঞ্জন দা আসবে শুনে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। আজ সব গানই শুনেছি। দাদার বয়স হলেও গানের গলা এখনও আগের মতোই। একটুও চেঞ্জ হয়নি। খুবই সুন্দর আয়োজন। অসম্ভব ভালো লেগেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এতো সামনে থেকে তার গান শুনতে পাবো এটা আসলে চিন্তার বাইরে ছিল। তিনি বাংলাদেশি না হলেও তিনি বাঙালি এবং এদেশের মানুষের প্রাণে মিশে আছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পরিচালক অধ্যাপক আলমগীর কবির, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি অঞ্জন দত্তের প্রথম সংগীতানুষ্ঠান। তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯৫৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সাল থেকে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন ও ১৯৯৮ সাল থেকে সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন। ২০১১ সালে নির্মিত ‘রঞ্জনা আমি আর আসবোনা’ সিনেমাটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *