ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জমিজমা সংক্রান্ত জেরে এসএসসি পরিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম : বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়ির নিরাপত্তা টিনের প্রাচীরকে ঘিরে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অসহায় এক পরিবারের ওপর নৃশংস্যভাবে মারধর ও পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় এক এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহত ৩ জন বর্তমানে চিলমারী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এরপরই আহতের খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মারধর ও পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বহরের ভিটা এলাকায়। আহতরা হলেন, ওই এলাকার আব্দুল করিম (৫৭) তার দুই ছেলে রুকু মিয়া (২৬) ও ছোট ছেলে এসএসসি পরিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম (১৬)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলছে, বহরের ভিটা এলাকার আব্দুল করিম ও আব্দুল মজিদ এই দুই পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে এর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনা করে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সময়ে আব্দুল করিম তার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য টিন দিয়ে বাড়ির সীমানা ঘিরে নেয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সকালে আব্দুল মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন সীমানা প্রাচীর টিন ভেঙে দিতে আসলে আব্দুল করিমের দুই ছেলে বাঁধা দিলে মজিদ পক্ষ অর্তকিত হামলা চালায়। এতে এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় আব্দুল করিমের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় আব্দুল মজিদ পক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা দমকল বাহিনীকে খবর দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা দমকল কর্মী জানান, সকালে আগুন লাগার খরব পেয়ে একটি ইউনিট গিয়ে রান্নাঘরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুণের সূত্রপাত কোথা থেকে এমন প্রশ্নে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, লোকজন বলছিলেন দুইপক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আগুন লাগিয়ে দেয়। এমন ঘটনা শুনে আমরা চিলমারী মডেল থানাকে বিষয়টি অবগত করে চলে আসি।
আহত আব্দুল করিমের স্ত্রী রওশন আরা বলেন, আজ সকালে আব্দুল মজিদ, মতিয়ার, মন্জু, ফরহাদ, মিনহাজুল কুড়াল, দা দিয়ে আমাদের বাড়ির সীমানা ভেঙে দিতে আসে। এত আমার দুই ছেলে বাঁধা দিতে গেলে কুড়াল দিয়ে ছোট ছেলে আজিজুলের মাথায় কোপ দেয় । এরপর তারা আমার বড় ছেলেকেও আঘাত করে। সাথে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। আমরা বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়ে আসছি ওই পরিবারের কাছে। এর আগেও তারা আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এসব ঘটনারপর চেয়ারম্যান মেম্বার বাড়ির সীমানা ঠিক করে দেন। তিনি আরও বলেন, আহত স্বামী-ছেলেকে হাসপাতালে নিতে ব্যস্ত এই সুযোগে মজিদের স্ত্রী ফলোরাণী ও আরেকজন জাহানারা রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। আমরা এর বিচার চাই। এঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হারেসুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনা শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার আহবান জানানো হয়েছে। অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

জমিজমা সংক্রান্ত জেরে এসএসসি পরিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম : বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
// চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়ির নিরাপত্তা টিনের প্রাচীরকে ঘিরে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অসহায় এক পরিবারের ওপর নৃশংস্যভাবে মারধর ও পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় এক এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহত ৩ জন বর্তমানে চিলমারী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এরপরই আহতের খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মারধর ও পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বহরের ভিটা এলাকায়। আহতরা হলেন, ওই এলাকার আব্দুল করিম (৫৭) তার দুই ছেলে রুকু মিয়া (২৬) ও ছোট ছেলে এসএসসি পরিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম (১৬)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলছে, বহরের ভিটা এলাকার আব্দুল করিম ও আব্দুল মজিদ এই দুই পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে এর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনা করে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সময়ে আব্দুল করিম তার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য টিন দিয়ে বাড়ির সীমানা ঘিরে নেয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সকালে আব্দুল মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন সীমানা প্রাচীর টিন ভেঙে দিতে আসলে আব্দুল করিমের দুই ছেলে বাঁধা দিলে মজিদ পক্ষ অর্তকিত হামলা চালায়। এতে এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় আব্দুল করিমের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় আব্দুল মজিদ পক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা দমকল বাহিনীকে খবর দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা দমকল কর্মী জানান, সকালে আগুন লাগার খরব পেয়ে একটি ইউনিট গিয়ে রান্নাঘরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুণের সূত্রপাত কোথা থেকে এমন প্রশ্নে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, লোকজন বলছিলেন দুইপক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আগুন লাগিয়ে দেয়। এমন ঘটনা শুনে আমরা চিলমারী মডেল থানাকে বিষয়টি অবগত করে চলে আসি।
আহত আব্দুল করিমের স্ত্রী রওশন আরা বলেন, আজ সকালে আব্দুল মজিদ, মতিয়ার, মন্জু, ফরহাদ, মিনহাজুল কুড়াল, দা দিয়ে আমাদের বাড়ির সীমানা ভেঙে দিতে আসে। এত আমার দুই ছেলে বাঁধা দিতে গেলে কুড়াল দিয়ে ছোট ছেলে আজিজুলের মাথায় কোপ দেয় । এরপর তারা আমার বড় ছেলেকেও আঘাত করে। সাথে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। আমরা বিভিন্নভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়ে আসছি ওই পরিবারের কাছে। এর আগেও তারা আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এসব ঘটনারপর চেয়ারম্যান মেম্বার বাড়ির সীমানা ঠিক করে দেন। তিনি আরও বলেন, আহত স্বামী-ছেলেকে হাসপাতালে নিতে ব্যস্ত এই সুযোগে মজিদের স্ত্রী ফলোরাণী ও আরেকজন জাহানারা রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। আমরা এর বিচার চাই। এঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. হারেসুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনা শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার আহবান জানানো হয়েছে। অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বা/খ: এসআর।