ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চলনবিলে চারোর কদর বেড়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
শাহজাদপুরসহ চলনবিলের উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর, চাটমোহর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, আত্রাই, রাণীনগর, শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার নদীনালা, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে পানি হ্রাসের সাথে সাথে আবহমান গ্রাম বাংলায় প্রচলিত দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাছ ধরার চারোর কদর বেড়েছে। এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের হাটবাজারে মাছ ধরার উপকরণ চাঁরো বিক্রির হারও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলনবিলের নিম্ন আয়ের অনেক পরিবার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাঁই তৈরিকে বেছে নিয়েছে।
জানা গেছে, বাঁশ ও তালগাছের কাণ্ডের আঁশ, কান্তি দিয়ে তৈরি চাঁরো বর্ষাকালের শুরুতে ও শেষ দিকে বিভিন্ন জলাশয়ে ছোট মাছ ধরার কাজে বহুল ব্যবহৃত হয়। এ অঞ্চলের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বছরের এ মৌসুমে মাছ ধরার বিভিন্ন ধরন ও আকারের চারো তৈরি করে থাকেন। চলনবিলাঞ্চলের একেক এলাকায় চাঁরো একেক নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় চারোকে ধন্দি, বানা, খাদন, খালই, বিত্তি ও ভাইর নামে এলাকাবাসী অবিহিত করেন । নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবরিষা, চলনালী, শিধুলি, চরকাদহ, উদবারিয়া, পোয়ালশুড়া, সোনাবাজু, সাবগাড়ী, যোগেন্দ্রনগর; বড়াইগ্রাম উপজেলার মাড়িয়া, শ্রীরামপুর; সিংড়া উপজেলার কালিনগর, বিলদহর, কৃষ্ণনগর, নুরপুর; পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর, হান্ডিয়ালসহ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুরের বিভিন্ন বিলাঞ্চল ও খালে, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার নিম্ন আয়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অনেকে শখের বশে আবার অনেকে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে বর্তমানে চাঁরো তৈরি ও বিক্রি করে এবং মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন ।
শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমান বলেন, চলনবিলাঞ্চলের নীচু এলাকার খাল, বিল, ডোবা, পুকুরসহ জলাশয়ের বদ্ধ পানিতে মাছ ধরতে চারোর বহুল ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চলনবিলে চারোর কদর বেড়েছে

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
শাহজাদপুরসহ চলনবিলের উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর, চাটমোহর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, আত্রাই, রাণীনগর, শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার নদীনালা, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে পানি হ্রাসের সাথে সাথে আবহমান গ্রাম বাংলায় প্রচলিত দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাছ ধরার চারোর কদর বেড়েছে। এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের হাটবাজারে মাছ ধরার উপকরণ চাঁরো বিক্রির হারও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলনবিলের নিম্ন আয়ের অনেক পরিবার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাঁই তৈরিকে বেছে নিয়েছে।
জানা গেছে, বাঁশ ও তালগাছের কাণ্ডের আঁশ, কান্তি দিয়ে তৈরি চাঁরো বর্ষাকালের শুরুতে ও শেষ দিকে বিভিন্ন জলাশয়ে ছোট মাছ ধরার কাজে বহুল ব্যবহৃত হয়। এ অঞ্চলের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বছরের এ মৌসুমে মাছ ধরার বিভিন্ন ধরন ও আকারের চারো তৈরি করে থাকেন। চলনবিলাঞ্চলের একেক এলাকায় চাঁরো একেক নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় চারোকে ধন্দি, বানা, খাদন, খালই, বিত্তি ও ভাইর নামে এলাকাবাসী অবিহিত করেন । নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবরিষা, চলনালী, শিধুলি, চরকাদহ, উদবারিয়া, পোয়ালশুড়া, সোনাবাজু, সাবগাড়ী, যোগেন্দ্রনগর; বড়াইগ্রাম উপজেলার মাড়িয়া, শ্রীরামপুর; সিংড়া উপজেলার কালিনগর, বিলদহর, কৃষ্ণনগর, নুরপুর; পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর, হান্ডিয়ালসহ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুরের বিভিন্ন বিলাঞ্চল ও খালে, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার নিম্ন আয়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অনেকে শখের বশে আবার অনেকে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে বর্তমানে চাঁরো তৈরি ও বিক্রি করে এবং মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন ।
শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমান বলেন, চলনবিলাঞ্চলের নীচু এলাকার খাল, বিল, ডোবা, পুকুরসহ জলাশয়ের বদ্ধ পানিতে মাছ ধরতে চারোর বহুল ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।