ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ১৬ মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অস্থায়ী বুথ বসিয়ে পুলিশের উপস্থিতে মরদেহ করা হয়।

বুধবার সকালে ঢাকা জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস জানান, ১৬ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন, দুই জন ভবনের কর্মচারী, একজন বস হেলপর ও একজন পথচারী। নিখোঁজদের স্বজনরা মেডিকেলে এসে নাম লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। এছাড়া, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন জানান, রাত থেকেই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলার নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবনগুলোতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ১৬ মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অস্থায়ী বুথ বসিয়ে পুলিশের উপস্থিতে মরদেহ করা হয়।

বুধবার সকালে ঢাকা জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস জানান, ১৬ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন, দুই জন ভবনের কর্মচারী, একজন বস হেলপর ও একজন পথচারী। নিখোঁজদের স্বজনরা মেডিকেলে এসে নাম লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। এছাড়া, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন জানান, রাত থেকেই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলার নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবনগুলোতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।