ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ভবন মালিকসহ গ্রেফতার ৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবন মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াহিদুর রহমান, মতিউর রহমান এবং আব্দুল মোতালেব মিন্টু। এদের মধ্যে ওয়াহিদুর রহমান ও মশিউর রহমান ভবনের মালিক অপরজন আব্দুল মোতালেব মিন্টু ‘বাংলাদেশ সেনিটারি’ নামের দোকানের মালিক। সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান (৪৬) এবং তার ভাই মতিউর রহমানকে (৩৬) গত ৭ই মার্চ ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। একই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল এলাকা থেকে আব্দুল মোতালেবকে (৩৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবন মালিকের অবহেলাজনিত দায় থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, সিদ্দিকবাজারের যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার নাম কুইন সেনেটারি মার্কেট। এক সময় এটার নাম ছিল কুইন ক্যাফে। ১০ তলা ভবনের প্ল্যান করা হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেজমেন্ট ও একতলা কমপ্লিট ছিল। বেজমেন্টে ছিল রান্নাঘর আর একতলায় ছিল খাবারের হোটেল। এই রান্নাঘরে কমার্শিয়াল গ্যাসের বড় লাইন ছিল যা পরে লিখিতভাবে তিতাসের কাছে সারেন্ডার করা হয়।

কুইন সেনেটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎস স্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারে গ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত। বায়ু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা যেত। বাড়ির মালিকগণ টাকার লোভে আন্ডারগ্রাউন্ডকে এক সময় রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই রান্নাঘরের গ্যাসের লাইন যথাযথভাবে অপসারণ না করে তার উপরেই সম্পূর্ণ এয়ার টাইট এসি করা নির্মাণ সামগ্রীর মার্কেট বানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দোকানের মালিক বিল্ডিং কোডের বিধান না মেনে ভাড়া নিয়ে বেইজম্যান্টের ১ ইঞ্চি জায়গাকেও ফাঁকা না রেখে ডেকোরেশন করে দোকান বানিয়ে সেখানেই তার কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারনের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। এতগুলো প্রাণের হানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি তাই ভবনের মালিক এবং দোকানদারের স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ এবং অবহেলার ই ফল। জান এবং মালের এ ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগে ভবন মালিকসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন। এর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তিনজনকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ভবন মালিকসহ গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবন মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াহিদুর রহমান, মতিউর রহমান এবং আব্দুল মোতালেব মিন্টু। এদের মধ্যে ওয়াহিদুর রহমান ও মশিউর রহমান ভবনের মালিক অপরজন আব্দুল মোতালেব মিন্টু ‘বাংলাদেশ সেনিটারি’ নামের দোকানের মালিক। সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান (৪৬) এবং তার ভাই মতিউর রহমানকে (৩৬) গত ৭ই মার্চ ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। একই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল এলাকা থেকে আব্দুল মোতালেবকে (৩৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবন মালিকের অবহেলাজনিত দায় থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, সিদ্দিকবাজারের যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার নাম কুইন সেনেটারি মার্কেট। এক সময় এটার নাম ছিল কুইন ক্যাফে। ১০ তলা ভবনের প্ল্যান করা হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেজমেন্ট ও একতলা কমপ্লিট ছিল। বেজমেন্টে ছিল রান্নাঘর আর একতলায় ছিল খাবারের হোটেল। এই রান্নাঘরে কমার্শিয়াল গ্যাসের বড় লাইন ছিল যা পরে লিখিতভাবে তিতাসের কাছে সারেন্ডার করা হয়।

কুইন সেনেটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎস স্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারে গ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত। বায়ু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা যেত। বাড়ির মালিকগণ টাকার লোভে আন্ডারগ্রাউন্ডকে এক সময় রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই রান্নাঘরের গ্যাসের লাইন যথাযথভাবে অপসারণ না করে তার উপরেই সম্পূর্ণ এয়ার টাইট এসি করা নির্মাণ সামগ্রীর মার্কেট বানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দোকানের মালিক বিল্ডিং কোডের বিধান না মেনে ভাড়া নিয়ে বেইজম্যান্টের ১ ইঞ্চি জায়গাকেও ফাঁকা না রেখে ডেকোরেশন করে দোকান বানিয়ে সেখানেই তার কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারনের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। এতগুলো প্রাণের হানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি তাই ভবনের মালিক এবং দোকানদারের স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ এবং অবহেলার ই ফল। জান এবং মালের এ ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগে ভবন মালিকসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন। এর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তিনজনকে।